বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: এই যে... এক ঝলকে দেখা গেল, লাইলি মজনু আইয়া পড়লো, কী চমৎকার লাইগ্যা গেল.../ কায়দা রে কায়দা, বাইয়া বাইয়া রস পরে, আয়না দিয়ে চেক করে, রাজার ঘরের মাইয়া, রে মাইয়া../ দেইখ্যা যান, পাঁচ টাকায় দেইখ্যা যান, লাইলী-মজনু দেইখ্যা যান..।
এক হাতে জরির তাল, অন্য হাতে ঘুরছে হাতল।
শুক্রবার মেলা প্রাঙ্গণের প্রবেশ মুখে হরকরা সুরে ছন্দ-কথন শুনে বায়োস্কোপ দেখতে ভিড় জমায় মেলায় আসা বিভিন্ন বয়সীরা।
দাদা-নানার মুখে গল্প শোনা বায়োস্কোপের গল্প-চিত্র দেখে মুগ্ধ হয় কলেজ শিক্ষার্থীরাও, শিশুদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চোখ রাখে বায়োস্কোপ দূরবীনে।
কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার ছাতির চর গ্রামের পার্টির বাদ্যশিল্পী মোবারক। ঢোল বাজানোর পাশাপাশি পুতুল নাচের বাক্স, নাগর দোলা, বায়োস্কোপ বাক্স বানান তিনি।
তিনি বলেন, তিন বছর আগে হঠাৎ মনে হলো আমাদের অতীত ঐতিহ্য বায়োস্কোপ হারিয়ে যাচ্ছে। এই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য পাশের গ্রামে আমার সহযোগী রুবেলকে নিয়ে মেলায়-মেলায়, হাটে-বাজারে এবং চুক্তি ভিত্তিক ভাড়ায় যেতে শুরু করি। সব সময় তো কাজ থাকে না, সে সময় নাগর দোলা, পুতুল নাচের বাক্স তৈরি করি। বায়োস্কোপের চেয়ে অন্য কাজগুলোতে টাকা বেশি হলেও, আমরা ভালো লাগা থেকে এটা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪