মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হচ্ছে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘শিশু-কিশোর রচনাবলী’।
বৃহস্পতিবার অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অন্যপ্রকাশের পরিচালক সিরাজুল কবির চৌধুরী কমল এ তথ্য জানান।
বাংলানিউজকে তিনি জানান, ‘শিশু-কিশোর রচনাবলী’ ছাড়াও এবারের মেলায় হুমায়ূন আহমেদের ‘রচনাবলী ৮ম ও ৯ম খণ্ড’ প্রকাশিত হবে। ইতোমধ্যে, অন্যপ্রকাশ থেকে হুমায়ূন আহমেদের ‘লীলাবতীর মৃত্যু’, ‘কাকারু’ ও ‘কাঠ ও কাঠঠোকরা’ নামে তিনটি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে।
হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের চাহিদা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেঁচে থাকতে হুমায়ূন আহমেদ স্যার বলতেন, ‘আমি আমার পাঠক তৈরি করতে পেরেছি। তারা অন্য বই না পড়লেও আমার বই পড়ে। ’
তাই, বিগত দুই বছরে হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের পাঠক কমেনি বরং আরো বেড়েছে। স্যারের শূন্যতা যে আর কেউ পূরণ করতে পারবেন, তেমন কাউকে তো আমি দেখি না।
তিনি বলেন, যেহেতু, হুমায়ূন আহমেদের নতুন বই আর প্রকাশিত হচ্ছে না। তাই, পুরনো বইগুলোই বেশি বিক্রি হচ্ছে। কারণ, যাদের কাছে তার আগের বইগুলো নেই, বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম, তারা স্যারের পুরনো বইগুলো সংগ্রহে রাখার জন্য কিনছেন।
বইমেলা সম্পর্কে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বিগত যে কোনো বছরের তুলনায় এবারের বইমেলা অনেক সুশৃঙ্খল, সুন্দর এবং গোছানো। প্রকাশকদের আগ্রহের কারণেই বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ এবারের মেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারণ করেছে এবং এটা যে কত ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা মেলায় আসা পাঠক-দর্শনার্থীরা অনুভব করতে পারছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু এবার সফলতার সঙ্গে এখানে মেলা শেষ হচ্ছে; তাই আগামী বছর আগে থেকেই আরো ভালো পরিকল্পনা করে আরো অনেক সুন্দর মেলা করা যাবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সবুজের মধ্যে খুব ভালো আন্তর্জাতিকমানের মেলা করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, মেলা তো মেলাই। তাকে ছোট করার চেষ্টা কেন! যেহেতু, সোহরাওয়ার্দীতে অনেক জায়গা; তাই আগামী বছরে আমরা প্যাভিলিয়ন চাই। কারণ, প্যাভিলিয়ন না থাকলে পাঠক তার পছন্দমতো বই দেখতে পারেন না।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সারা বছর বইমেলাসহ বিভিন্ন ধরনের মেলা করার জন্য স্থায়ী জায়গা করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪