মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই মেলা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন কাকলী প্রকাশনীর প্রকাশক নাসির আহমেদ সেলিম।
শুক্রবার বইমেলা প্রাঙ্গণে বাংলানিউজকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেলার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন নিতে কাকলী প্রকাশনীর প্রকাশক নাসির আহমেদ সেলিম বলেন, একটু ভালো ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যদি মেলার আয়োজন করা যায়। তাহলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সুষ্ঠু ও অনেক ভালো মেলা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, যেহেতু শিশু, বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীরা বেশি বই পড়েন, তাই বইমেলায় আগামীতে তাদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা জরুরি। এতে তারা ওখানে কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারবে। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে শৌচাগার ব্যবস্থার উন্নয়ন, নামাজের স্থান ও বৃষ্টিতে মেলার মাঠে কাদার সৃষ্টি না হয় সেজন্য স্টলগুলোর সামনে ইট দিয়ে রাস্তা করে দেওয়া প্রয়োজন।
নাসির আহমেদ সেলিম বলেন, প্রকাশকদের একটা সমিতি আছে। কিন্তু মেলা কর্তৃপক্ষ যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রকাশকদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করেন না। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তারা আমলাদের মতো আচরণ করে থাকেন। এতে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় সবাইকে।
বুধবার মেলার সময় বাড়ানো নিয়ে কর্তৃপক্ষ ও প্রকাশকদের মধ্যে সৃষ্ট জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতেন তাহলে কোন জটিলতার সৃষ্টি হতো না।
সেলিম বলেন, এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার পরিধি বাড়ানো হলেও শিশুদের বইয়ের কথা বলে কিছু প্রকাশনীকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে স্টল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব নামিদামি ভালো প্রকাশকের স্টল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ এসব প্রকাশনীর কাছে শিশুদের অনেক বই-ই রয়েছে।
এতে শিশুরা ভালো ও মানসম্মত বই থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও মনে করেন এই প্রকাশক।
বইমেলায় বিভিন্ন টাস্কফোর্সের সমালোচনা করে নাসির আহমেদ অভিযোগ করেন, বইমেলার নীতিমালা ভঙ্গ করে মেলায় অসংখ্য পাইরেটেড বই বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে এক প্রকাশনীর বই আরেক প্রকাশনী বিক্রি করছে। কিন্তু মেলা কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ শুধু নীতিমালা তৈরি করেই তাদের দায়িত্ব শেষ করেছেন। নির্ধারিত স্থান ছাড়াও টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত সড়ক ও সড়কদ্বীপে হকাররা বই বিক্রি করছেন। এতে পাঠক-দর্শনার্থীদের মেলায় আসতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
সময় বাড়ানো সম্পর্কে সেলিম বলেন, মেলা একদিন বাড়াতে আমরা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা নানা অজুহাতে তা করেন নি। এরজন্য আলাদা কোনো পরিকল্পনা কিংবা অবকাঠামোর দরকার ছিল না।
এর আগে তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সময় মেলার সময় সাত দিন বাড়ানো হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৪