ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

এজি মাহমুদের ‘মধ্যরাতে মেয়েটি আমার কাছে আসে’

বইমেলা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
এজি মাহমুদের ‘মধ্যরাতে মেয়েটি আমার কাছে আসে’

ঢাকা: বইয়ের গল্প সংখ্যা তিনটি। শেষ গল্পটির নাম ‘মধ্যরাতে মেয়েটি আমার কাছে আসে’।

গল্পের শুরুতেই প্রবল ঝড়বৃষ্টির রাতে ঘুম ভেঙে প্রাক্তন প্রেমিকা মৈত্রয়ীকে বিছানায় দেখে চমকে উঠে কৌশিক।

পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মৈত্রয়ী মৃত। অথচ সাইকিয়াট্রিস্ট ড. ঊর্বশী মজুমদার দাবি করেন কৌশিক স্রেফ তৃতীয় শ্রেণির নেক্রেফেলিক পেশেন্ট। কৌশিক লাশের সাথে যৌনকর্ম কল্পনা করে মাত্র। কিন্তু সেই মৈত্রয়ী যখন কৌশিককে বলে বসে, আমি তোমার সন্তানের মা হতে চলেছি। তখনই এলেমেলো হয়ে যায় কৌশিকের চারপাশের জগত। ধীরে ধীরে ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে কৌশিক নিজেকে আবিষ্কার করতে শুরু করে ভিন্নজগতের নতুন এক চরিত্রে। মিথলজি, ম্যাজিক রিয়েলিজম, সুরিয়ালিজম আর ফ্যান্টাসির মিশেল রয়েছে এই গল্পে।

দ্বিতীয় গল্পটির নাম Shoe কন্যা। গল্পের শুরুতেই ফুটপাতের এক চায়ের দোকানে আর্যর সাথে দেখা হয় পরীর মতো অপরূপা মেয়েটির। পায়ের ছেঁড়া স্যান্ডেল আর্যকে সেলাই করে এনে দিতে অনুরোধ করে মেয়েটি। আর্য স্যান্ডেল সেলাই করে এনে দেখে মেয়েটি উধাও। অজানা অচেনা মেয়েটিকে ফেরত দেয়ার জন্য স্যান্ডেল সাথে করে শহরের গলিতে গলিতে ঘুরতে শুরু করে আর্য। এরপর থেকেই আর্যর রূপবতী বান্ধবী, বেদেনী আর জুতাবাবাকে ঘিরে ঘটতে থাকে আশ্চর্য সব ঘটনা।

প্রথম গল্পটির নাম ‘মেঘাঞ্জলি’। গল্পে নিশাতকে দেখে প্রতিদিনই নিজের প্যান্টে চা ঢেলে দেয় এক তরুণ। ভরদুপুরে বাসস্ট্যান্ডে মুখোশ পরে নিশাতের আশপাশে থাকে আরো কেউ একজন। নিশাতের বাবা কখনো স্পষ্ট করে বলেন না- নিশাতের সত্যিকারের পরিচয় কী? কাজের বুয়া মরিয়মের মা সবসময় কেন যেন নিঃশব্দে নিশাতের পেছনে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। আর…কিছুটা বাকি থাকুক। রহস্যময় প্রেম ও সম্পর্কের টানাপোড়েনের পরবাস্ততা এসেছে এই গল্পে।

জাগৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এজি মাহমুদের লেখা ১১২ পৃষ্ঠার এই বইটির মূল্য ১৬০ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন ফয়সল আরেফিন দীপন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
এডিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।