বইমেলা থেকে: বইরূপে এলো বাংলানিউজের সাহিত্য পাতায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত আদনান সৈয়দের গবেষণামূলক রচনা ‘ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীরা’। বইটি প্রকাশ করেছে ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ।
ঔপনিবেশিক ভারতের বিলাতি নারী বইটিতে কী আছে? জানতে চাইলে আদনান সৈয়দ বললেন, ‘ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীদের উপস্থিতি ছিল অনিবার্য। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে বিলাতি নারীরা হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ভারত এসেছিলেন। ভারতে এসে খুব স্বাভাবিকভাবেই এখানকার সমাজ এবং সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে হয়েছিল’।
‘তারা কখনো ছিলেন কারো স্ত্রী, কখনো প্রেমিকা, কখনো কোনো হাসপাতালের সেবিকা, কেউ ছিলেন মিশনারির কাজে, কেউ ভারতে এসে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন আবার কেউ সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত’।
তিনি বলেন, ভারতে অবস্থানরত বিলাতি নারীরা ছিলেন আমাদেরই মতো রক্তমাংসের মানুষ। বিভিন্ন রকম ছল-চাতুরি, লোভ, হিংসা-বিদ্বেষ, কাম, প্রেম, ভালোবাসায় তাদের জীবন ছিল সিক্ত। এক চিলতে সুখের খোঁজে এসব বিলাতি নারীরা যখন ভারতে পাড়ি জমান, তখন তাদের চোখ ভরা ছিল স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন কারো জীবনে সত্য হয়ে ধরা দিয়েছিল। আবার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করতে গিয়ে কেউ কেউ জীবন সংগ্রাম থেকে ছিটকেও পড়েছিলেন। তবে এ কথা বলা যায়, তাদের জীবনে ছিল নানা মাত্রার বৈচিত্র্য’।
‘তাদের ভাষা, সংস্কৃতি, মনন এবং মানসিকতা সব কিছুই ছিল ভারত থেকে আলাদা। তাদের কেউ কেউ ভারতীয় জীবনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারলেও বেশিরভাগ নারীই ‘মেম সাহেব’-এর মোহবন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি’।
ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারী বইটিতে মূলত বিলাতি নারীদের জীবন যাপন, তাদের মানসিকতা, প্রেম, ভালোবাসা, বিয়ে এবং সর্বোপরি তাদের গৃহস্থ জীবনের খুটিনাটি দিকগুলো তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানান লেখক আদনান সৈয়দ।
বই হিসেবে প্রকাশের আগে তো রচনাটি বাংলানিউজে প্রকাশিত হয়েছিল? আদনান সৈয়দ বলেন, ‘হ্যাঁ। বাংলানিউজে রচনাটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এটিকে ঘিরে নানা ধরনের মন্তব্য পেতে শুরু করি। মূলত প্রশংসামূলক মন্তব্য। আর সেই সূত্রে একাধিক প্রকাশকও রচনাটিকে বই হিসেবে প্রকাশ করতে চেয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন’।
ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীরাসহ ঘরে বসে বইমেলার যেকোনো বই পেতে ভিজিট করুন rokomari.com-এ। অথবা কল করুন 16297 নম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
টিকে/এএসআর