বইমেলা থেকে: এবারের বইমেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের স্টল ‘যুব জাগরণ’ এক অনন্য উদ্যোগ নেয়। মাত্র একশ টাকায় তারা পাঠকের হাতে তুলে দেয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বই দু’টি।
মেলার ২৮তম দিন পর্যন্ত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কপি। আর ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটি বিক্রি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কপি। এমনটাই বাংলানিউজকে জানালেন আওয়ামী যুবলীগের প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু।
তিনি জানান, যুব জাগরণ ষ্টলটিতে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র পাশাপাশি যুবলীগের নিজস্ব প্রকাশনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার লেখা বই নিয়েই সাজানো হয়েছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ ওমর ফারুক চৌধুরীর যুব গবেষণা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে এ স্টলটি পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর বিভিন্ন সময় প্রকাশিত প্রায় চারশ প্রকাশনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার লেখা বইয়ের বিপুল সংগ্রহ রয়েছে যুব জাগরণ স্টলে।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম হাওলাদার জানান, চারবছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ একুশে গ্রন্থমেলায় বইয়ের স্টল দিচ্ছে। এ স্টলে যুবলীগের নিজস্ব প্রকাশনা, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার লেখা বই রাখা হয়। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী পৌঁছে দিতে ভর্তুকি দিয়ে সেসব বই বিক্রি করা হয়।
নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত স্টল ‘যুব জাগরণ’। স্টলটির শৈল্পিক নির্মাণশৈলী সহজেই মেলায় আগত যে কোনো মানুষের দৃষ্টি ও চিত্তকে আকর্ষণ করে। একুশে বই মেলা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্টল পরিদর্শন করে যুবলীগের এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্টল ঘুরে সাধুবাদ জানিয়ে মন্তব্য বইয়ে লিখেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
এ নিয়ে পরপর চারবছর যুবলীগ একুশে গ্রন্থমেলায় বইয়ের স্টলের আয়োজন করলো যুবলীগ। যুবলীগের স্টলটির অনেকগুলো বিশেষত্ব রয়েছে। ব্যানারের ডানপাশে একটি খোলা বইয়ের প্রতিকৃতি তার এক পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু অন্য পৃষ্ঠায় শেখ হাসিনার ছবি আর বাঁ পাশে গ্লোবসদৃশ একটি বিলবোর্ডে হাসিনার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মাননা প্রাপ্তির খণ্ডচিত্র।
তার নীচে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত বড় একটি ডিজিটাল ব্যানার। স্টলের ডান পাশের পিলারটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে দেখলেই মনে হবে থরে থরে বই সাজিয়ে তা নির্মাণ করা হয়েছে।
স্টলটিতে যুবলীগ প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে, বাঙালির হৃদয়ের ফ্রেমে জাতির পিতা, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দর্শন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার পরিবর্তনের ডাক, শেখ হাসিনার জীবন ও সংগ্রাম - গণজাগরণের কাব্য, ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন, তোমরা যারা শিবির কর, জাতিসংঘে চার দশক বিশ্বের চোখে বাংলাদেশ, “গণ” পুড়িয়ে “তন্ত্র” দিয়ে কি করবেন ম্যাডাম? যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর লেখা “জনগণের ক্ষমতায়ন বিশ্ব শান্তির নেতা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা” বইগুলো অন্যতম।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যারা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাসী তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন। বাংলাদেশের মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে চান। আর বঙ্গবন্ধুকে জানার সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং শেখ হাসিনার নিজের লেখা বই ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’।
শেখ হাসিনার রচনা সমগ্র-(১), শেখ হাসিনার রচনা সমগ্র (২), নিঃসঙ্গ কারাগারে শেখ হাসিনার ৩৬১ দিন, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি, সহে না মানবতার অবমাননা, সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি-সজীব ওয়াজেদ জয়, বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের স্বৈরতন্ত্রের জন্মসহ বিভিন্ন ধরনের বই এ স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
যুবলীগের স্টল এ পর্যন্ত পরিদর্শন করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি এমপি, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি, বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী, প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর, মোহাম্মদ সেলিম, চিকিৎসাবিদ ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, নাট্য ব্যক্তিত্ব এম এ আজিজসহ দেশের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬
এডিএ/এএ