‘আমেরিকার টুকরো গপ্পো’ মূলত লেখকের প্রবাস জীবনের নানান অভিজ্ঞতা ও আমেরিকা ভ্রমণ উপজীব্য করে রচিত। বইটি সম্পর্কে কিছু কথা বলতে গিয়ে প্রাবন্ধিক ও গবেষক মফিদুল হক লিখেছেন- ‘সঞ্জয় দে এখন পাঠকের দরবারে পেশ করছেন তার মার্কিনী প্রবাসজীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় গাঁথা মালিকা, খুলেছেন টুকরো কথার ঝাঁপি।
অন্যদিকে ‘বলকানের বারুদ’ বইটিতে স্থান পেয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বলকানের কয়েকটি দেশে লেখকের ভ্রমণ আখ্যান। গল্পকার ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী দীপেন ভট্টাচার্য বইটি সম্পর্কে লিখেছেন, ‘বাঙালি পথিক পূর্ব ইউরোপের পথে সহজে পা মাড়ায় না, সেখানে সঞ্জয় দে এক অদম্য তাগিদে সেই উত্তরের লাটভিয়া থেকে দক্ষিণের আলবেনিয়া পর্যন্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রুমানিয়ার ড্রাকুলার দুর্গ থেকে আড্রিয়াটিক সাগরের পাশে মন্টিনেগ্রোর উচ্ছ্বল বুদভা শহরে তিনি গিয়েছেন ফটো তোলার তাগিদে নয়, বরং সেই দেশগুলোর ইতিহাস আর সংস্কৃতি জানতে, পথ-চলতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে পূর্বে সমাজতান্ত্রিক পথ ধরে চলা এসব দেশের রাজনীতি আর অর্থিনীতি বুঝতে। ’
এ’সব উত্থান-পতনের ইতিহাস লিখতে গিয়ে সঞ্জয় তার বইয়ের নামে ‘বারুদ’ কথাটি সংযোজন করেছেন, কিন্তু হেলা করেননি মেসিডোনিয়ার অখ্রিদ হ্রদের তাম্রবর্ণকেশী কাঞ্চনাক্ষী যুবতীর সঙ্গে তার কথোপকথন লিপিবদ্ধ করতে।
বই দু’টি সংগ্রহ করা যাবে একুশে বইমেলার পাললিক সৌরভের স্টল ৪১২ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এএ