বইয়ের বিষয়ের খালিদ মারুফ বলেন, বাংলাদেশ-ভূখণ্ডের ইতিহাস আশ্রিত একটা রক্তাক্ত অধ্যায়ের প্যানোরমা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে উপন্যাসটিতে। এদিক থেকে এটা হয়তো ওয়ার ফিকশন ক্যাটাগরিতে পড়তে পারে।
গত ৪ বছর ধরে ধীরে ধীরে এই উপন্যাসের প্রতিটি চিত্রপট আঁকা হয়েছে বলে জানান তিনি।
একটা খণ্ড-জনপদের মানুষ তার জীবনলিপ্সা ও সংগ্রামের পথ বেয়ে মুক্তি-অন্বেষার আশায় বিচিত্রা ও বৈভবের অজস্রতায় অগ্রসর হতে থাকে। তাতে স্বতঃস্ফূর্ত সাহসিকতা, প্রজন্মপ্রবাহিত বীরত্ববোধ ও ভূমিজ ঐতিহ্যচেতনা প্রবল বিক্রমে কাজ করে। জীবন-জগতের যে অংশের অভিজ্ঞতা তারই একটা শিল্পভাষ্য রচনা করতে চেয়েছেন খালিদ মারুফ তার ‘বুনোকুলির রক্তবীজ’ উপন্যাসে।
পুরো উপন্যাসজুড়ে পুলক সঞ্চারের একটা সংক্রামক প্রতিভা আছে, যা সমালোচকের চোখে এক প্রকার প্রলেপ পরিয়ে শুদ্ধ সাহিত্যভোগের লিপ্সাটাকেই প্রধান করে তোলে। নতুন পাঠক তার নিজস্ব চুমুকে উপন্যাসটির তলানিতে পৌঁছে যাবেন নিজের মতো নির্জন অভিজ্ঞতায়।
গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৩ নং প্যাভিলিয়নে (আগামী প্রকাশনী) বইটি পাওয়া যাচ্ছে। মেলায় হ্রাসকৃত মূল্যে ২৬২ টাকায় বইটি পাওয়া যাবে।
খালিদ মারুফের জন্ম বাগেরহাট জেলার বেশরগাতী নামক গ্রামে। পুরো কৈশোর আর যৌবনের কিয়দংশ কেটেছে নড়াইল-গোপালগঞ্জে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগের ছাত্র হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে বাংলা একাডেমিতে কর্মরত।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এমএন/এইচএ/