শিশু কর্নারের মাঝেই সিসিমপুরের মঞ্চ। এখানে বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে শুরু হয় সিসিমপুর প্রদর্শনী।
অনেকেই আবার রেলগাড়ি ছাড়া হয়ে পড়ে। সিসিমপুরের ভলান্টিয়াররা তাদের আবার হাত ধরে জুড়ে দেয় সিসিমপুরের গাড়িতে।
সিসিমপুরের এই প্রদর্শনী শিশুদের মাঝে এক উৎসবের আমেজ তৈরি করে। একে অপরকে ধরে চলতে চলতে নিজেদের মধ্যে এক হয়ে চলার শিক্ষা দেয়।
প্রায় ১০মিনিটের এই গাড়ি থামলে মঞ্চে এসে হাজির হয় শিশুদের প্রিয় পাপেট চরিত্র হালুম। হালুমকে দেখে শিশুদের মধ্যে হৈ-চৈ শুরু হয়ে যায়। বাবাদের কাঁধে ওঠে দূর থেকেও হালুম হালুম করে ডাকতে থাকে। শিশুদের ছুঁয়ে দিয়ে যতটুকু সম্ভব সবাইকেই খুশি করতে চেষ্টা করে হালুম।
কিছুক্ষণ পরেই চলে আসে টুকটুকি আর ইকরি। শিশুদের আর আনন্দের সীমা নেই। ইকরি একের পর এক প্রশ্ন ছুড়তে থাকে। শিশুদের শিক্ষা দেয় প্রশ্ন করতে হবে। জানতে চাইতে হবে।
শিশু প্রহরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ নিঃসন্দেহে সিসিমপুর লাইভ শো।
মেলা চলাকালীন প্রতিদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় এই শো অনুষ্ঠিত হয়। আর শুক্র এবং শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় শিশু প্রহরে।
তবে স্থান সংকুলানের জন্যে শিশুদের কিছুটা সমস্যা হয় বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। রামপুরা থেকে আসা জহির বলেন, শিশুদের জন্যে জায়গাটা খুব বেশি নয়। এতো ছোট জায়গায় সম্ভব হয় না সবার যাওয়া।
বেশ কয়েকজন অভিভাবকের একই অভিযোগ। বলেন, শো শুরু হলে দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। জায়গাটা আরেকটু বড় হলে ভাল হয়। আর শিশুদের স্টেজে ছাড়লে বাবা-মাকেও পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাংশে চলছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
এমএন/এসএইচ