ঢাকা: ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সে তুলনায় ছিল না বই বিক্রি! প্রকাশকরা আশা করেছিলেন এরচেয়েও বেশি কিছুর।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২১তম দিনে মেলার দ্বার খুলে সকাল ৮টায়। ঠিক তখন থেকেই মেলার ভেতরে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।
সাত সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে প্রায় সবারই গন্তব্য হয়ে দাঁড়ায় বাংলা একাডেমির বইমেলা। দুপুর গড়াতে সেই জনস্রোতে বাংলা একাডেমিমুখো সড়ক হয়ে উঠেছিল জনসমুদ্র।
রাজধানীর মিরপুর থেকে আরাবি ও সুবর্ণা নামে দুই সন্তানকে সঙ্গে করে মেলায় আসেন ইউনুস আল বাবুল।
তিনি বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যাই। পরে বইমেলায় ঘুরাতে নিয়ে এলাম।
এদিকে আরাবি জানায়, মাতৃভাষার ইতিহাস জানা ও বইমেলা থেকে বই কিনতে বাবার সঙ্গে আসা। মেলা থেকে ৩টি গল্প, ৩টি উপন্যাস ও ছড়ার ২টি বই কিনেছে নবম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুলতানা বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আর বইমেলার মধ্যে এক অন্যরকম মিল রয়েছে। এদিন বইমেলায় না আসলে যেন কোনো কিছুরই পূর্ণতা পায় না। তাই মেলা ঘুরে কিছু বই ক্রয়ের চেষ্টা।
সকাল থেকেই লেখকদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা পাঠকের মন ভরিয়ে তুলেন অটোগ্রাফ-ফটোগ্রাফে। এতে খুশিও হন প্রকাশকরা। কিন্তু বিক্রির আরও আশা ছিল তাদের।
তাম্রলিপি প্রকাশনীর কর্ণধার তরিকুল ইসলাম রনি বলেন, এদিন মূলত বই পাঠকদেরই। কিন্তু তুলনামূলক বিক্রি অনেক কম ছিল।
‘তবে প্রবেশপথগুলো একটু দৃশ্যমান হলে দর্শনার্থী আরও বাড়তো, বিক্রিও ভালো হতো,’ যোগ করেন তিনি।
মেলার উত্তর পাশের সুলেখা প্রকাশনীর মালিক মাহমুদুল কাদের বাংলানিউজকে জানান, আগের তুলনায় আজকে ভালো বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও হলো না। আয়োজক কমিটিরা স্টলের বিন্যাস ঠিকমতো করতে পারেনি। সেজন্য স্টল খুঁজে পাওয়াটা জটিল হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
ওএফ/আইএ