ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

নম্বরবিহীন স্টল, হয়রান পাঠক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৮
নম্বরবিহীন স্টল, হয়রান পাঠক অমর একুশে গ্রন্থমেলার একাংশ/ছবি: হারুন

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) হওয়ায় লোক সমাগমও বেশ। তবে কাঙ্ক্ষিত স্টল খুঁজে না পেয়ে হয়রান পাঠক। প্রতিটি স্টলের নম্বরপ্লেট সরবরাহের দায়িত্ব বাংলা একাডেমির। কিন্তু মেলার দ্বিতীয় দিনে এসেও অধিকাংশ স্টলে বসেনি নম্বরপ্লেট। এতে সমস্যায় পড়ছেন পাঠক।

মেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ ঘুরে অনেকের কাছ থেকেই এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ প্রতিবেদকের কাছেও অনেক পাঠক তার কাঙ্ক্ষিত প্রকাশনীর স্টল নম্বর জানতে চেয়েছেন।

একই সঙ্গে স্টলের অবস্থানের জিজ্ঞাসা নিয়ে ঘুরেছেন তারা।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, নানা অব্যবস্থাপনার মধ্যে এই স্টল নম্বর না বসানোটা অন্যতম। কেননা, স্টল নম্বর থাকলে প্রকাশনীগুলোর অবস্থান সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। অথচ মেলার অধিকাংশ স্টল বা প্যাভিলিয়নই বসেছে নম্বর ছাড়া।

প্রকাশকরা বলছেন, স্টল নম্বর না থাকায় সরাসরি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা। তাদের বক্তব্য এটা শুরুর দিনই দেওয়া উচিত ছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকাশকরা জানিয়েছেন, স্টল নম্বরপ্লেট দেয় বাংলা একাডেমি। তারা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে দিয়ে এটি করিয়ে নেয়। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।

হবিগঞ্জ থেকে মেলায় এসে রীতিমতো হয়রান হয়ে গেছেন সবুর মাহমুদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেলার অনুসদ্ধান কেন্দ্র থেকে স্টল নম্বর জানা যাচ্ছে। কিন্তু মেলায় ঘুরে প্রায় শতভাগ স্টলের গায়ে কোনো নম্বর চোখে পড়ছে না।

তাম্রলিপির প্রকাশক একেএম তারিকুল ইসলাম রনি বলেন, এখনো স্টল নম্বর বসছে এটা সত্য। তবে এ বড় আয়োজন ছোটখাটো কিছু সমস্যা আছে। আশাকরি দু’একদিনের মধ্যে নম্বর লাগানো হবে।

দিব্য প্রকাশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা বলেন, শুরু থেকেই স্টল নম্বর, প্যাভিলিয়ন নম্বর থাকলে ভালো। কখনো কখনো একটু এদিক সেদিক হতে পারে। তবে এটা পাঠকদের জন্য ভোগান্তির সৃষ্টি করে। আশাকরি এটা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বারবার তাগাদা দিচ্ছি। কিন্তু হচ্ছে না। আশাকরি দু’একদিনের মধ্যে হয়ে যাবে। প্রকাশ সমিতিরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। তাদেরও এগিয়ে আসা উচিত।

মেলা ঘুরে এবার নতুন একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। তা হলো বসার জন্য বেঞ্চ পাতা হয়েছে চত্বরে চত্বরে। হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত যারা তাদের অনেককেই এখানে একটু জিরিয়ে নিতে দেখা গেছে।

অব্যবস্থাপনার মধ্যে অপর্যাপ্ত টয়লেট, পানি ব্যবস্থা অপ্রতুল, স্টল এখনো সম্পন্ন না হওয়াও উল্লেখযোগ্য।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।