অন্যদিনের মতো ত্রয়োদশ দিনে মঙ্গলবারও (১৩ ফেব্রুয়ারি) মেলার দুয়ার খোলে বিকেল তিনটায়। আর সময় গড়ানোর সাথে সাথে বাড়তে থাকে বইপ্রেমীদের ভিড়।
সাধারণ উৎসুক জনতা, নিছক বইপ্রেমী কিংবা রাজনীতিক থেকে শুরু করে সব শ্রেণী-পেশার নানা বয়সীদের মিলমেলায় পরিণত হয় বইমেলা প্রাঙ্গণ।
কেউ এসেছেন পুরো পরিবার নিয়ে, কেউবা সঙ্গী করেছেন ভালোবাসার মানুষকেই। তবে তরুণ-তরুণীদের বিচরণই ছিল লক্ষণীয়। বিশেষ করে নারীদের বাসন্তী সাজে মাথায় ফুলের বাহার আর হাতে বই, মেলার সৌন্দর্য বাড়িয়েছে বিপুলভাবে।
মিম নামে পুরান ঢাকার এক এসএসসি পরীক্ষার্থী জানান, ভালোবাসা দিবসে বের হওয়া যাবে না। তাই ফাগুনের সাজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রেমিককে নিয়ে। যাবার সময় পছন্দের লেখককের বই নিয়ে ফেরাটাই হবে আরো আনন্দের।
ভিকারুননেসা নূন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির রাফিসা তাবাসসুম এসেছে রাজনৈতিক অঙ্গনের চেনামুখ বাবা আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে। সঙ্গে তার মাও রয়েছেন। বাবা-মেয়ের বই পড়ার অভ্যাস। আর মায়ের ভালোলাগা বাসন্তী সাজে ঘুরে বেড়ানো।
তাবাসসুম জানাল, ভৌতিক গল্প আর গোয়েন্দা কাহিনিই তার বেশি প্রিয়। সম্প্রতি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া প্রতিযোগিতায় নিজের ক্যাটাগরিতে সেরা হয়েছে সে।
ম্যাপল লিফের দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া জাওয়াদ আহমেদ এসেছে মা শাহানা সুলতানা সনির সঙ্গে। মায়ের ইচ্ছে ঘুরাঘুরি আর জাওয়াদ নিয়েছে ডায়নোসর বিষয়ে দুটি বই।
এদিকে প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতবছরের থেকেও এবারের পহেলা ফাল্গুনে সাড়া ভালো। মেলায় দর্শনার্থীরা আপাত দৃষ্টিতে ঘুরে বেড়ালেও যাওয়ার সময় নিয়েছেন বই।
অনুপম প্রকাশনীর ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের এই দিনের চেয়ে এবার বিক্রি ভালো হয়েছে। সব ধরনের বইয়ের ক্রেতাই এবার বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ