ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

গ্রন্থমেলায় দ্বিতীয় দিনে উপন্যাসের বই বেশি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯
গ্রন্থমেলায় দ্বিতীয় দিনে উপন্যাসের বই বেশি বইমেলায় দ্বিতীয় দিনেই বইয়ে মনোযোগী শিশু পাঠকরা/ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলার দ্বিতীয় দিনে নতুন বই এসেছে ৮১টি। নতুন প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উপন্যাসের সংখ্যাই বেশি। গল্প ১০টি, উপন্যাস ২০টি, প্রবন্ধ চারটি, কবিতা ১৪টি, গবেষণা একটি, ছড়া একটি, জীবনী তিনটি, রচনাবলী চারটি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চারটি, নাটক একটি, বিজ্ঞান তিনটি, ভ্রমণ দু’টি, ইতিহাস বিষয়ক পাঁচটি, সায়েন্স ফিকশন দু’টি ও অন্যান্য ৭টি।

এদিকে, শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‌‌‌‌‘বিজয়: ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।  

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাবন্ধিক-গবেষক আবুল মোমেন।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক-সাংবাদিক হারুন হাবীব, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী এবং গবেষক মোফাকখারুল ইকবাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক।

আবুল মোমেন বলেন, ভাষা আন্দোলন পূর্ববাংলার মানুষকে মুক্তি ও স্বাধীনতার দিশা দিয়েছে। ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির লড়াই ক্রমশ পরিণত হয়েছে স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনতামুখী অনিবার্য সংগ্রামে। এ অঞ্চলের চিন্তানায়ক, লেখক, বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিকর্মীদের দীর্ঘ সংগ্রামের পরম্পরায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা ও মুক্তির লক্ষ্যে বাঙালিরা যে পথে নেমেছিল, সে পথ ছিল বীরত্ব, ত্যাগ, সংগ্রাম ও বিজয়ের পথ। সে পথের শেষ গন্তব্যে পৌঁছেছি আমরা নয় মাসের দীর্ঘ সংগ্রাম, অসীম ত্যাগ ও বিপুল বীরত্বের বিনিময়ে।

আলোচকরা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের মোহনায় পৌঁছতে সাংস্কৃতিক সংগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত ভাষা-আন্দোলনবাহিত চেতনাই আমাদের ধারাবাহিকভাবে উপনীত করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধের দুয়ারে। ভাষার সংগ্রাম আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে জাতিসত্তার আত্মপরিচয় অন্বেষণে। তবে এ পথের যাত্রা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না মোটেও। নানামুখী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বায়ান্নকে সফল করে তুলেছে একাত্তরে।

সভাপতির বক্তব্যে আহমদ রফিক বলেন, ভাষার সংগ্রাম মূলত স্বাধীনতার সংগ্রাম। ভাষা আন্দোলন চেতনার যে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেছিল তারই বিচ্ছুরিত শিখায় আমরা আমাদের জাতিসত্ত্বার স্বরূপ আবিষ্কার করেছি। আঁধার রাতের পরিধি ভেঙে সম্ভব করেছি স্বাধীনতার সুবর্ণ সকাল।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠ করেন কবি আসাদ মান্নান এবং কবি হালিম আজাদ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ইস্তেকবাল হোসেন এবং লায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী। সংগীত পরিবেশন করেন তিমির নন্দী, শিবু রায়, রুমানা ইসলাম, আলম আরা মিনু, শ্যামা সরকার। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার (তবলা), রিচার্ড কিশোর (গিটার), ইফতেখার হোসেন সোহেল (কি-বোর্ড) এবং মো. ফারুক (প্যাড)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী রুমানা আহমেদ সোমা।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯
এসকেবি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।