রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরভবনের গ্রিনপ্লাজায় বইমেলার মূল মঞ্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও লেখক সনৎ কুমার সাহা।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জুলকার নাঈন, সংগীতশিল্পী বুলবুল মহালনবিশ, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, কবি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতি করেন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও কবিকুঞ্জের সভাপতি রুহুল আমিন প্রামাণিক।
সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় বইমেলার মূল আকর্ষণই হয়ে ওঠে এ সঙ্গীতানুষ্ঠান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গানে গানে মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চ ফাঁকা থাকলেও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হলেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনেন একের পর এক পরিবেশনা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিবেশনায় ছিলো আধুনিক, লোক, পল্লী, লালনগীতি ও কবিতা আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন রাজশাহী আবৃত্তি পরিষদ।
একক আবৃত্তি করেন বাংলাদেশের লায়লা আফরোজ ও ভারতের শম্পা দাস। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী বুলবুল মহালনবিশ, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, ভারতের গানের দল মাদলসহ রাজশাহীর সংগীতশিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
এর আগে দুপুরে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। একইসঙ্গে শুরু হয় বইমেলা। ১০ দিনের উৎসব সম্পন্ন হবে আগামী ২৬ মার্চ।
প্রথম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান, জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
এসএস/এএটি