শুক্রবার (২২ মার্চ) ছুটির দিন বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, বইপ্রেমী তরুণদের আড্ডায় মেলায় সন্ধ্যার আবহ পাল্টে গেছে। তারুণ্যের এক অপূর্ব মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে রাজশাহীর এ বইমেলা।
প্রতিদিন বিকেলে সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়তে শুরু করলেই আগমন ঘটতে থাকে তরুণ-তরুণীদের। কেবল স্টল ঘুরে বই কেনা নয়, মেলা প্রাঙ্গনে তারা আড্ডায় মশগুল হয়ে পড়েন তারা। প্রতিদিনই বাড়ছে তরুণ পাঠক-দর্শনার্থীদের সংখ্যা। মেলা থেকে নিজ গন্তব্যে ফেরার পথে প্রিয় লেখকের বই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
মেলায় আসা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের আয়োজন তারুণ্যের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটে। পাশাপাশি নিজের জ্ঞানকেও আরও আলোকিত করা যায় এখানে। মেলায় এসে স্টলগুলো ঘুরে দেখলাম। অনেক ভালো লাগছে।
রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, বই শিক্ষার প্রধান বাহন। বই ছাড়া শিক্ষার কথা কল্পনাই করা যায় না। প্রতিবারই ঢাকায় একুশে বইমেলায় যাই। কিন্তু এবার পরীক্ষার কারণে যাওয়া হয়নি। নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় ছোট পরিসরে আয়োজিত এ মেলায় কিছুটা হলেও নতুন বই দেখার এবং কেনার সুযোগ হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার সকালে মেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের নৃত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিল্পীরা।
রাজশাহী আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। এর পরপরই শুরু হয় স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। এতে কবি মিনার মনসুর, রুবী রহমান, মাহবুবুর রহমান বাদশা, রুবিনা আনিস, মাজেদা আক্তার বিথী, জোহা এম এম হোসেন ও হাসিবুল ইসলাম স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।
পরে রাতে একই মঞ্চে শুরু হয় মাতাল বাউল দলের লোকসঙ্গীত অনুষ্ঠান। সবশেষে নাটক পরিবেশন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য সংগঠন ‘রুডা’।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়। একইসঙ্গে মেলার অংশ হিসেবে শুরু হয় বইমেলা। ১০ দিনব্যাপী এ বইমেলা শেষ হবে আগামী ২৬ মার্চ। এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
এসএস/এমজেএফ