খুব দ্রুত এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যাচ্ছিলেন, উদ্দেশ্য নিজের বই বিক্রি। তিনি একে একে জীবনের ৮৬ বছর পার করেও বয়সের ভারে ক্লান্ত হননি।
সম্প্রতি একজন অমর একুশে বইমেলায় এই মানুষটাকে দেখে বইয়ের কথা ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে তিনি সবার নজরে আসেন।
১৯৩৪ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার চরমধুচারিয়া গ্রামে ফয়জুর রহমানের জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে রসায়ন শাস্ত্রে অনার্স করেন। ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) অধীনে অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সামিনার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
পরে তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে নিউক্লিয় শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ওপর দীর্ঘদিন গবেষণা করেন। ১৯৯২ সালে ওই সংস্থার নিউক্লিয় বিজ্ঞান ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির রসায়ন শাস্ত্রের শিক্ষকতা করেছেন। রিজিওনাল কো-অপারেটিভ এগ্রিমেন্ট নামক একটি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ফোরামে দীর্ঘ সাত বছর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার নিজস্ব গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
আজকালের অনলাইন প্রচারণার ভিড়ে একজন প্রকৃত স্কলারকে প্রমোট করবার জন্য এগিয়ে এসেছেন দেশের সর্ববৃহৎ সুপারস্টোর চেইনশপ স্বপ্ন। এখন থেকে স্বপ্নের আউটলেটে ওই বিজ্ঞানীর ‘বাঙালির জয়, বাঙালির ব্যর্থতা’ বইটি পাওয়া যাবে। একজন যোগ্য ব্যক্তির প্রাপ্য পেতে সঙ্গে থাকবে স্বপ্ন।
বইটি প্রকাশ করেছে পুথিনিলয় প্রকাশনী। অমর একুশে গ্রন্থমেলার দুই নম্বর প্যাভিলিয়ানেও পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
বিষয়টি স্বপ্নের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাব্বির নাসিরের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ড. ফয়জুর রহমানের বইটি স্বপ্নের আউটলেটে বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানান।
স্বপ্নের হেড অব বিজনেস মাহাদি ফয়সাল জানান, সোমবার তিনি ড. ফয়জুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তার বইটি স্বপ্নের প্রিমিয়াম আউটলেটগুলোতে বিক্রি করার কথা বলেন। এছাড়াও তার আরেকটি বই ‘তড়িৎ প্রকৌশলের সহজ উপায়’ বইটির বিপণন নিয়ে কথা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এএটি