বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এই আলোচনা সভা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক সাজেদুল আউয়াল।
আলোচনায় প্রাবন্ধিক বলেন, অনুপম হায়াৎ রচিত বঙ্গবন্ধু ও চলচ্চিত্র গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধুর আমলে চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ও নানা প্রসঙ্গ, চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধু এবং ‘বঙ্গবন্ধুর সৃষ্টি করা পথে বিচ্ছুরিত আলোর মন্তাজ’ শীর্ষক অধ্যায়-বিন্যাসে বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক সত্তাকে পরিস্ফুট করা হয়েছে। নিষ্ঠাবান গবেষক তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে এই বিশেষ কাজটিকে পূর্ণতা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে নানা সময়ে নির্মিত তথ্যচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র প্রভৃতিতে বঙ্গবন্ধুর নানামুখী উপস্থাপনের বৃত্তান্তও তিনি তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের একটি গ্রন্থ বঙ্গবন্ধুপ্রেমী একইসঙ্গে চলচ্চিত্র-উৎসাহীজনদের কাছে প্রয়োজনীয় সংগ্রহ হিসেবেই আদৃত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বিকাশ ও উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সরকার গৃহীত নানামুখী গঠনমূলক পদক্ষেপ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে উন্নয়নের ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে।
তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক চেতনা ও আদর্শকে অনুসরণ করে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং জাতির পিতাকে নিয়ে চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের মাধ্যমে তার জীবন ও কর্ম বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে।
গ্রন্থটির লেখক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে গবেষণা ও গ্রন্থ প্রণয়ন আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের অভিজ্ঞতা। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন রাজনৈতিক বিপ্লবের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পথরেখাও নির্মাণ করতে হবে। আমি আশা করি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পর্দা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আলোতে আবার ঝলমল করে উঠবে।
সভাপতির বক্তব্যে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও চলচ্চিত্র বিষয়ক আলোচনা বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধু কেবল মহান রাজনীতিবিদই ছিলেন না, তিনি ছিলেন অত্যন্ত সংস্কৃতিমনা। বাংলার মানুষের সাংস্কৃতিক আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক স্বপ্ন প্রতিফলিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মে। আর অনুপম হায়াৎ রচিত বঙ্গবন্ধু ও চলচ্চিত্র গ্রন্থে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
এইচএমএস/টিএ