যার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তাক করা হয়েছে তারও কিছু বক্তব্য থাকে। আইনের চোখে সে তখন হয়ে যায় ‘সাফাই সাক্ষী’।
‘সাফাই সাক্ষী’ তাই অদৃশ্য কাঠগড়ায় হাঁসফাঁস করতে থাকা একজন অভিযুক্তের বয়ান। কখনো কখনো নিজেকে খুঁজে বেড়ানোর গল্পও।
গল্প লিখতে গেলে অনেক রকম ব্যাকরণ মানতে হয়। কেউ মেটাফরে গল্প বলতে পছন্দ করেন, কেউ তৈরি করেন ম্যাজিক রিয়েলিজম। লেখক তার লেখার মাধ্যমে পাঠককে প্রবেশ করান অদ্ভূত এক জাদুবাস্তবতার পৃথিবীতে।
‘সাফাই সাক্ষী’র লেখক জুয়েল দেব বলেন, দৈনিক পত্রিকার ফিচার পাতাগুলোয় ২০০৫-০৬ সাল থেকে অনিয়মিতভাবে আমার ছোট ছোট লেখা ছাপা হয়েছে। এই দীর্ঘসময়ে বাংলা ও বিশ্বসাহিত্যের সামান্য কিছুই হয়তো আমি পড়েছি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে মানুষের চেয়ে বড় কোনো ম্যাজিক রিয়েলিটি হয় না। একজন মানুষ তার সমস্ত জীবনে বাস করে আসলে এক জাদুবাস্তবতার পৃথিবীতে।
‘সে মানুষের গল্পই আমি সবসময় বলতে চেয়েছি। আমার লেখা তাই হয়ে গেছে একটা সরলরেখার মতো। প্রচণ্ড সস্তা আর মানের বিচারে অনুত্তীর্ণ। তারপরেও দিনশেষে সবারই আত্মপক্ষ সমর্থনের কিছু বক্তব্য থাকে। এসমস্ত কিছু নিয়েই ‘সাফাই সাক্ষী’।
তিনি বলেন, ‘সাফাই সাক্ষী’তে গল্প থাকছে মোট নয়টি। একেকটা গল্প লেখার পর আমার ভেতরে কাজ করেছে তীব্র ভয় এবং একই সঙ্গে তীব্র আনন্দ। আমার কাছে মনে হয়েছে, যে গল্প আমি বলতে চেয়েছি তা ঠিকঠাকভাবে বলতে পারিনি। আবার বুকপকেটে জমে থাকা গল্পটা বের করতে পেরেছি বলে তীব্র আনন্দে আমি ভেসে গিয়েছি। 'সাফাই সাক্ষী' তাই আনন্দ-বেদনার গল্প, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির গল্প। আপনাকে গল্পের ভূবনে স্বাগতম।
বইটি প্রকাশ করেছে অধ্যয়ন প্রকাশনী। অমর একুশে গ্রন্থমেলার তাম্রলিপির প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাবে। বইটির সংগ্রহ করা যাবে চট্টগ্রাম বইমেলার তাম্রলিপির প্যাভিলিয়নে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এইচজে