শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেমেছিল তারুণ্যের ঢল। প্রায় সবাই হলুদ পোশাকে মোহনীয় সাজে এসেছিলেন বইমেলায়।
ছুটির দিন হিসেবে বেলা ১১টা থেকে শুরু শিশুপ্রহরে বইমেলার প্রবেশমুখেই ছিল ব্যাপক ভিড়। বইমেলা ছাড়াও দোয়েল চত্বর এবং শাহবাগ-টিএসসি সড়কেও বাবা-মায়ের হাত ধরে রঙিন বসন্তের সাজ-পোশাকে এসেছিল ছোট্ট সোনামনিরা। তরুণ-তরুণীরাও এদিন জমিয়ে দিয়েছেন আড্ডা। তাদের কারো হাতে ফুল, কারো বা খোঁপায় ফুল। প্রায় সবাই লাল, হলুদ, সবুজ, বেগুনি, কমলা বা সাদায় নিয়েছেন বাসন্তী সাজ।
হলুদ শাড়ি পরে আর মাথায় ফুল দিয়ে বাবার হাত ধরে বইমেলা ঘুরে বেড়াচ্ছিল ছোট্ট সোনামনি আবৃত্তি। কথা বললে সে বলে, সকালেই মেলায় এসেছি বই কিনতে। সিসিমপুরে হালুম আর ইকরির সঙ্গে মজাও করেছি। এর আগে বসন্ত উৎসব দেখেছি। এখন অনেকগুলো বই কিনে বাড়ি যাবো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দিপিকা তুষ্টি বলেন, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে খুব মজা করছি। পছন্দের বই কিনলাম। বাসন্তী সাজে এলাম, বন্ধুরাও এসেছে। বসন্ত আর বইমেলা দুটোই চমৎকার। আর সঙ্গেতো আজ ভালোবাসার দিন।
ধামরাই থেকে আসা মনোয়ার ইসলাম জানালেন, ভীষণ ভালো লাগছে। বন্ধু-বান্ধব মিলে বেশ জমিয়ে কাটছে দিনটি। সকাল থেকে বেশ কয়েক জায়গায় ঘুরলাম। বইও কিনেছি।
অন্য প্রকাশের বিক্রয়কর্মী রাব্বি আহমেদ জানান, প্রতিবছর ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসের প্রতীক্ষায় থাকি আমরা। আজকে পহেলা ফাল্গুন এবং ভালোবাসা দিবসে মেলা পরিপূর্ণ। বিক্রির মাত্রা বেড়েছে এবং তা বিকেলে আরো বাড়বে বলেই আশা করছি।
মেলা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, ছুটির দিন এবং দুটি দিবস একসঙ্গে হওয়ায় মেলায় আজ জনসমাগম অনেক। এতে লেখক প্রকাশক সবাই খুশি। বইমেলায় অতিথি বাড়লে আমরাও খুশি হই, মেলায় তখন প্রাণ ফিরে আসে। সবাই এমন দিনই চায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
এইচএমএস/জেডএস