তেমনই একটি দিন শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি)। আগের দিনের উপচে পড়া ভিড় শেষে ছিমছাম মেলায় শনিবার সকালে ঘুরেফিরে বেড়িয়েছে শিশুরা।
শনিবার সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত নির্বাচন। সেটি চলতে চলতেই সকাল ১১টায় সবার জন্য খুলে দেওয়া হয় গ্রন্থমেলার দ্বার। রঙতুলিতে আঁকার মতো করে অভিভাবকের হাত ধরে ছুটে বেড়ায় শিশুরা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের শিশু চত্বরে তাদের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় সিসিমপুরের হালুম-ইকরি-টুকটুকি। তাদের সঙ্গে মজা করে এবং তাদের জন্য তৈরি মঞ্চে নানা ধরনের শিক্ষণীয় খেলায় অংশ নিয়ে অন্যরকম একটি সকাল পার করলো শিশুরা।
শনিবার সকালে মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, বাবা-মার হাত ধরে কিংবা কোলে-পিঠে চড়ে শিশুরা মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে বেড়াচ্ছে। পছন্দ করে নিজেরাই কিনছে নতুন বই। মেলায় ঢুকেই সিসিমপুরের স্টল থেকে গোটা পাঁচেক বই কিনেছে কেজি-ওয়ানের শিক্ষার্থী অপলা বিনতে হাবিব।
তারপর ছুটে গেছে শিশু চত্বরের সামনের বটগাছের নিচে তৈরি খেলার মঞ্চটাতে। কথা বলতে কিছুটা বিরক্তই হলো সে। বলে উঠলো, 'দেখছো না খেলছি, খেলার পর কথা বলব। '
তার সঙ্গে ব্যর্থ হয়ে কথা হলো তার বাবা ওমর বিন হাবিবের সঙ্গে। তিনি বলেন, আসলে ওরা তো খোলা জায়গা পায় না। এখানে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছে। খুব ভালো লাগছে মেয়ের আনন্দ দেখে।
পাতাবাহারের স্টলে বই দেখছিল সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের ছাত্রী আফিফা আহমেদ। জানালো, অনেক বই কিনেছে সে। সামনের শুক্র ও শনিবার আবার আসবে। আরও বই কিনবে।
শিশুপ্রহর শেষে দুপুর গড়িয়ে মেলা এখন সবার জন্য। চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত।
যারা বিকেলে মেলায় আসবেন, তাদের জন্য বাংলা একাডেমিতে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে শাহজাহান কিবরিয়া রচিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন আনজীর লিটন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন হরিশংকর জলদাস এবং খালিদ মারুফ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
ডিএন/এমএ