উপন্যাসটি মেলায় এনেছে প্রকাশনা সংস্থা- বুকিশ। এটির প্রচ্ছদ করেছেন- আবীর সোম।
‘বিষাদের মা কান্তারা’ বইটির মূল বক্তব্য জানতে চাইলে হাসনাত শোয়েব বলেন, এ বই আমার কাছে এমন একটা কিছু যা অনেক দিন ধরে লিখতে চাচ্ছিলাম। এমন একটা ফিকশন যেটা আমি অনেকদিন ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম। আমি নিজে এটাকে উপন্যাস বলে দাবি করছি, যদিও আমি নিশ্চিত যে অনেকেই সে দাবি মানবে না। এই সময়ে এসে আমি ফর্মটাকে মোটেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে করি না। আমি যা বললাম তা কোনোভাবে পাঠককে আলোড়িত করতে পারছে কিনা সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। সে বিবেচনায় আমার উপন্যাস দাবি করা কিংবা না করাতে কিছুই যায় আসে না। শেষ বিচারে টেক্সটটা পৌঁছাতে পারছে কিনা সেটাই বিবেচ্য। যদি পারে তো হলো, নয়তো নাই। এটুকুই। এই বইটা আমি উৎসর্গ করেছি, আমার নানা-নানীকে। আমার মনে হয় তাদেরকে হারানোর যে বিষাদ সেটা কোনো না কোনোভাবে এই বইয়ের ভেতর লুকিয়ে আছে। পাশাপাশি বইটি গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজকেও উৎসর্গ করা হয়েছে।
মূলত কবি, কিন্তু উপন্যাস প্রকাশের অনুভূতি জানতে চাইলে এ লেখক বলেন, বই প্রকাশ নিয়ে তেমন কোন বাড়তি অনুভূতি নেই। এই বই তার পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারলেই বরং ভালো লাগবে।
এর আগে হাসনাত শোয়েবের প্রকাশিত কবিতার বইগুলো হলো- সূর্যাসত্মগামী মাছ, ব্রায়ান অ্যাডামস ও মারমেইড বিষ্যুদবার, ক্ল্যাপস ক্ল্যাপস, দ্য রেইনি সিজন ও প্রিয় দাঁত ব্যথা। এছাড়া 'না কবিতা, না গল্প, না উপন্যাস' প্রকরণে বেরিয়েছে এ লেখকের আরেকটি বই- শেফালি কি জানে।
হাসনাত শোয়েবের জন্ম ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর এ কবি বর্তমানে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এইচজে