শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মেলার দুয়ার খোলার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয় মেলা প্রাঙ্গণ। তবে শুধু শিশু প্রহর নয়, বাবা-মায়ের সঙ্গে আসা কচিকাঁচাদের সরব উপস্থিতি ছিল পুরো মেলা জুড়ে।
মেলার শিশু চত্বর ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবারের (২৮ ফেব্রুয়ারি) তুলনায় শনিবার শিশু চত্বরে শিশুদের সমাগম প্রথমদিকে কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। এসময় শিশু চত্বর মঞ্চে সিসিমপুরের ইকরি ও হালুমদের বিশেষ পরিবেশনা উপভোগ করে বিভিন্ন বয়সের শিশুরা।
গ্রন্থমেলার শেষ দিন হওয়ায় নিজের সন্তানকে নিয়ে মেলায় আসেন অনেকেই। এ প্রসঙ্গে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে আগত আরিশা তাসনিমের মা আফরোজা হক জলি বলেন, সময় হচ্ছিলো না বলে এবার বইমেলা আসা হয়নি। মেলার শেষ দিন হওয়ায় মেয়েকে বইমেলা নিয়ে এলাম। এখান থেকেই তো ও বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হবে।
শিশু আরিশা তাসনিম বলে, আমি মেলার শেষদিনে বেশকিছু বই কিনেছি। এরমধ্যে বিজ্ঞানের বই, অনুবাদ গ্রন্থ ও বিভিন্ন গল্পের বই রয়েছে।
এদিকে মেলার শেষদিনে বিক্রিও ভালো বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন স্টলের বিক্রয়কর্মী। এ প্রসঙ্গে শিশু প্রকাশের বিক্রয় প্রতিনিধি রিফাত বাংলানিউজকে জানান, সাধারণত শিশুরা ভূত ও কল্পকাহিনির বই বেশি কেনেন কিন্তু এবার জ্ঞান-বিজ্ঞানের বই বেশ বিক্রি হচ্ছে। শেষ সময়ে বই বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলক হারে।
এদিকে এবারের মেলা অন্যবারের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এবার মেলা অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। শিশু চত্বরের পরিবেশও অনেক ভালো। ঝড়-বৃষ্টি বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনাও এখনো ঘটেনি। তাই আবারও প্রত্যাশা থাকবে এমন একটি মেলা ফিরে পাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এইচএমএস/আরআইএস/