ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

পাঠকের আনাগোনা, আসছে নতুন বই

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২১
পাঠকের আনাগোনা, আসছে নতুন বই শুক্রবার বিকেলে পাঠক-দর্শনার্থীদের আনাগোনা দেখা গেছে বইমেলায় | ছবি: জিএম মুজিবুর

বইমেলা থেকে: বাঙালির প্রাণের মেলা বইমেলা। ঐতিহ্যের পরম্পরায় এবারও শুরু হয়েছে সেই আয়োজন।

করোনা মহামারির মধ্যেও নতুন ও পুরনো বইয়ের ঘ্রাণে মেতে উঠেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

বেশিরভাগ নতুন বই এখনও আসেনি, তবে পাঠক-দর্শনার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলায়। বিশেষ করে শুক্রবার (১৯ মার্চ) বইমেলার প্রথম প্রহর পাঠকশূন্য কাটলেও বিকেলের পর থেকে মেলায় আসছেন মানুষজন। স্টল মালিকরাও পুরনো বইয়ের সঙ্গে সদ্য আসা গুটিকয়েক নতুন বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন স্টলে।

পাঠকেরা এখনও পুরনো বইয়ের পাতা ওল্টানোর মধেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন নিজেদের। অনেকে স্টলে স্টলে ঘুরে খোঁজ নিচ্ছেন নতুন বইয়েরও।

রফিকুল ইসলাম নামে এক পাঠক বলেন, মেলার প্রথম সপ্তাহ তো পুরনো বই দেখেই সময় কাটে। এই সময়টাতে নতুন বই খুব কমই পাওয়া যায়। আবার যেগুলো আসে, সেগুলো হুট করে কেনাও যায় না—মান যাচাই না করে। তাই নতুন বইয়ের সঙ্গে সম্পর্কটা গড়ে ওঠে মূলত মেলার কয়েকটা দিন পার হলে।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বইমেলার প্রথম প্রহরে তেমন একটা দর্শনার্থী চোখে না পড়লেও বিকেল যত গড়িয়েছে, একটু একটু করে বইয়ের টানে বইমেলায় এসেছেন মানুষজন।

বাবা-মায়ের হাত ধরে ফাঁকা মেলা প্রাঙ্গণ রাঙিয়ে তুলেছিল আগত কিছু শিশু। আবার বাঙালি সাজপোশাকে মেলায় এসেছিলেন কয়েকজন বিদেশিনীও।

বিকেলে বইমেলায় কথা হয় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মার্টিনের সঙ্গে। বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার এলেও বইমেলায় এবারই প্রথম এসেছেন তিনি। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বই আমার ভীষণ পছন্দের। বাংলাদেশের বইমেলার কথা শুনেছি। তবে এবারই প্রথম এই বইমেলায় এলাম। এটা অনেক বড় আয়োজন। এত বই দেখে সত্যিই ভালো লাগছে।

চারদিকে এখন নতুন বইয়ের বিজ্ঞাপন। প্রতিটি প্রকাশনীই ব্যস্ত তাদের বই নিয়ে। এখন যেন সামান্য নিশ্বাস ছাড়ার ফুরসত নেই তাদের। সামনের দিনগুলোতে আরও অজস্র বইয়ের সম্ভারে গমগম করবে বইমেলা, এমনটাই জানাচ্ছেন তারা। বলছেন—পাঠকের তালিকা সংগ্রহ শেষ হলে মনোযোগ দেবেন বই কেনাতে।

এ বিষয়ে অনিন্দ্য প্রকাশের প্রকাশক আফজাল হোসেন বলেন, অনেক মানুষ এখনো ভাবছেন তারা কী করবেন। করোনার এই পরিস্থিতিতে বইমেলায় আসবেন নাকি আসবেন না। সেজন্যই এখন পাঠকের আগমনটা অনেক কম। এরপরও আমরা যদি এক মাসব্যাপী মেলাটা শেষ করতে পারি, সেটিই হবে সার্থকতা। আর এখন তো পাঠক শুধু বই হাতে নিয়ে দেখছেন, নতুন বইয়ের তালিকা সংগ্রহ করছেন। বই বিক্রি এখন অল্প পরিমাণে হলেও কয়েকদিনের মধ্যেই তা বেড়ে যাবে বলে আশা করছি। আর ততদিনে মেলায় চলে আসবে আরও নতুন নতুন বই।

এদিকে প্রকাশক যত্ন নিয়ে বইটা বের করলেও, পাঠক বইটা উল্টেপাল্টে দেখলেও এখনো নান্দনিক রূপে সেজে ওঠেনি পুরো বইমেলা। মেলার দ্বিতীয় দিন শেষেও অনেক স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাজ শেষ হয়নি। কর্তৃপক্ষও শেষ করতে পারেনি বাথরুম, নামাজের ঘর এবং ঝড়-বৃষ্টিতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য তৈরি আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ। খাবারের স্টল আর লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণেও সেভাবে পসরা সাজিয়ে বসেননি কেউ। ফলে কোথাও যেন রয়ে গেছে একটু অপূর্ণতা। তবে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে খুব দ্রুতই শেষ হবে এসব কাজ। কয়েকদিনের মধ্যেই মেলা পাবে তার নান্দনিক রূপ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।