ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

সংবাদপত্র বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরতে সচেষ্ট ছিল

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
সংবাদপত্র বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরতে সচেষ্ট ছিল

বইমেলা থেকে: মুক্তিযুদ্ধের সময় গণমাধ্যম হিসেবে বেতারের পাশাপাশি সংবাদপত্র বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছে। আর বাংলাদেশের বাইরে বিদেশি সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলেছিল।

বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: মুক্তিযুদ্ধে সংবাদ সাময়িকপত্র’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এমনটাই বলেন বক্তারা।

আলোচনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ। আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট লেখক কুতুব আজাদ এবং মোহাম্মদ সেলিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।

প্রাবন্ধিক বলেন, পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসনের প্রায় চব্বিশ বছর, অল্পকিছু ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে সংবাদমাধ্যম বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে সফল পরিণতিতে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিল। পূর্ববঙ্গে স্বাধীন সংবাদপত্র যাতে বিকশিত না হয়, সেজন্য পাকিস্তানি সামরিক শাসকগোষ্ঠী সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছে। জনমত সৃষ্টি, জনমতের বিশ্বস্ত বাহন হিসেবে সংবাদপত্রকে জনতার সামনে উপস্থাপিত করার কাজে সাংবাদিকরা কঠোর সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিকরা বারবার কারাবরণ করেছেন ও স্বৈরাচারী শাসকদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন।

আলোচকরা বলেন, পাকিস্তানি শাসনামলে সংবাদপত্র যেমন বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রের ছিল গৌরবজনক ভূমিকা। তাই মুক্তিযুদ্ধে সংবাদপত্র ও স্বাধীনতাকামী মুক্তচিন্তার অধিকারী সাংবাদিকদের পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কঠোর নজরদারি ও নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হয়। সে সময় বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনের সমর্থক অকুতোভয় সাংবাদিকরা ত্যাগের অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামকে বেগবান করতে সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও গণমাধ্যম হিসেবে বেতারের পাশাপাশি সংবাদপত্র বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের চিত্রকে তুলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের বাইরে বিদেশি সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে তুলেছে।

এদিকে বুধবার লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন হাবিব আনিসুর রহমান, সুদীপ্ত সালাম ও সাকিরা পারভীন সোমা।

২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার অমর একুশে বইমেলার ৮ম দিন। এদিন মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এছাড়া ২৫শ মার্চ গণহত্যা দিবসের কালরাত্রি স্মরণে রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত ‘ব্লাক আউট’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।