বইমেলা থেকে: গণপরিবহন চালু হওয়ায় পাঠক এবং দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। গণপরিবহন চালু করায় ধীরে ধীরে বইমেলা প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাঠক ও প্রকাশকরা।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই মেলায় এসেছেন এবং বই কিনেছেন।
মেলায় আগত সাকিব হাসান বলেন, করোনার কারণে মেলা বন্ধ হয়ে যাবে ভেবেছিলাম। যেহেতু মেলা চলছে এবং গণপরিবহন চলছে তাই আজ চলে এলাম বই কিনতে। অনেককেই দেখলাম ব্যাগ বোঝাই করে বই কিনছেন।
এদিন মেলায় তুলনামূলক বেশিসংখ্যক পাঠক এলেও মেলার বেশকিছু স্টল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। অনেক স্টলে বেচাকেনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন অনেক প্রকাশক। তারা বলছেন সময়টা পরিবর্তন করে দিলে হয়তো মেলায় পাঠকরা আরও বেশি আসতে পারতেন। তবে আগামী শুক্র এবং শনিবার ছুটির দিনগুলোতে আরও বেশি পাঠক আসবেন বলেই প্রত্যাশা তাদের।
এ বিষয়ে অন্বেষা প্রকাশনীর প্রকাশক শাহাদত হোসেন বলেন, এমন একটা পরিস্থিতিতে এবার বইমেলা পড়েছে যেটা আমরা কেউই ভাবিনি। একে তো লকডাউন পরিস্থিতি, গণপরিবহন বন্ধ ছিল, তার উপরে মেলা চলছে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত। যদিও গণপরিবহন সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে তবুও পাঠক যে সময় মেলায় আসেন, আমাদের এখন সেই সময়টিতে মেলা বন্ধ করতে হচ্ছে। তবে আমরা আশা করছি আগামী ছুটির দিনে ভালো কিছু হবে।
এদিকে বুধবার অমর একুশে বইমেলার ২১তম দিনে নতুন বই এসেছে ৬৯টি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে—পাঞ্জেরী এনেছে পলাশ মাহবুবের ‘ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’, অন্যপ্রকাশ এনেছে শিহাব শাহরিয়ারের ‘নিঃসঙ্গ নদী ছায়া’, দাঁড়িকমা এনেছে মাহিন খানের ‘প্রতিবাদ’, জিনিয়াস এনেছে আবদুল মান্নান সরকারের ‘জনক’ (২য় খণ্ড), ড. আহমদ আব্দুল্লাহর ‘ঢাকার মুসলিম ঐতিহ্য’, ক্রিয়েটিভ এনেছে সন্দীপন ধরের ‘ভয়’, পুথিনিলয় এনেছে বুলবুল চৌধুরীর ‘বাছাই কিশোর গল্প’, বইপত্র এনেছে শামস রহমানের ‘বঙ্গবন্ধু নেতা, নেতৃত্ব ও আজকের বাংলাদেশ’, পেন্সিল এনেছে মোহাম্মদ তালুতের ‘নৈঋত’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ