ঢাকা: প্রকৃতিজুড়ে ঝরা পাতায় বসন্তের বন্দনা। গাছের পাতা ঝরে পড়ার পাশাপাশি উদ্যানের এদিক-ওদিক থেকে ভেসে আসে কোকিলের কুহুতান।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) অমর একুশে বইমেলার শেষ দিন। আজ মেলার দ্বার খুলে দেওয়া হয় সকাল ১১টায়। এরপর থেকে শুরু হয় বেচা-বিক্রি। মেলা ঘুরে দেখা যায়, খুবই দ্রুত হচ্ছে কেনা-বেচা; কারণ, মেলার সমাপ্তিরেখা উপস্থিত হয়েছে। মাস, সপ্তাহ, দিন পেরিয়ে এখন মেলার মেয়াদ আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তাইতো মেলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই যেমন পাঠক ও দর্শনার্থী এসেছে, তেমনি কেনা-বেচার মধ্যেও মেলাজুড়ে বাজছে বিদায় রাগিণীর সুর। বুধবার (১৬ মার্চ ) মেলাজুড়ে ছিল দারুণ বিক্রি, তেমনি ছিল বেদনার সুর। অনেকের কণ্ঠে ছিল মেলা শেষের আক্ষেপ। সেসঙ্গে আলোচনায় ছিল, কেমন হলো এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা, সে বিষয়টিও। এবারের মেলা আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এর আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। প্রকাশকরাও বলেছেন প্রায় একই কথা। তাদের সবার মতেই করোনার মধ্যে এমন পূর্ণাঙ্গ একটা মেলা সত্যিই অনেক বড় বিষয় এবং অবশ্যই তা সফল।
এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির পরিচালক ও বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, ‘এবারের মেলার আয়োজন নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। কোনো ধরনের অঘটন ছাড়াই মেলা শেষ হতে যাচ্ছে। এটাই আমাদের মূল সন্তুষ্টির জায়গা। ’অন্য প্রকাশের প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘একটা বড় আয়োজন করতে গেলে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকবেই। এবারের মেলায় কোনো বড় ধরনের অঘটন ঘটেনি, এটাই সুখের বিষয়। সেসঙ্গে প্রথম দিন থেকেই এবারের মেলায় বেচা-বিক্রি ভালো ছিল, যত দিন গড়িয়েছে বিক্রি ততই ভালো হয়েছে। সবমিলিয়ে এবারের আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্ট। ’সকালে মেলার দ্বার খুলতেই বইপ্রেমীরা আসতে শুরু করে অমর একুশে বইমেলায়। এ সময় অনেক শিশুও আসে মেলা প্রাঙ্গণে, বিশেষ করে শিশুচত্বরে। সবাই শেষ দিনটিতে বই কেনার পাশাপাশি ঘুরে সময় কাটিয়েছেন বইমেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
এইচএমএস/এএটি