ঢাকা: নতুন অর্থবছরের (২০১৪-১৫) প্রস্তাবিত বাজেটে শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস খাতের ভর্তুকি ও প্রণোদনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। চলতি বছরে (২০১৩-১৪) এ খাতে ৫৯ কোটি টাকা ভর্তুকি ও প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একথা জানান।
প্রস্তাবিত বাজেটে সবচেয়ে বেশি ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি ও প্রণোদনা রাখা হয়েছে কৃষি খাতে।
এছাড়া জনপ্রশাসন খাতে ৫ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৮৪২ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে ৬১০ কোটি টাকা এবং প্রতিরক্ষা খাতে ৩৫৪ কোটি টাকা ভর্তুকি ও প্রণোদনা রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয়ের আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। এ অর্থের ১ দশমিক ১ শতাংশ শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস খাতে ব্যয় করা হবে। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ৩ হাজার ৭৭ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ আছে ৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন বছরের জন্য এ খাতে বরাদ্দ কমছে ১ হাজার ৮ কোটি টাকা।
এছাড়া নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস খাতে কোনো ভর্তুকি ও প্রণোদনা রাখা হয়নি। অথচ চলতি অর্থবছরের জন্য এ খাতে ভর্তুকি ও প্রণোদনা দেওয়া হয় ৫৯ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তব্যে শিল্প খাতের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই।
বাজেট বক্তৃতায় মুহিত বলেন, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, জাহাজ নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল, ওষুধ, প্লাস্টিক, খেলনা, গৃহস্থালি সহায়ক সামগ্রী, আইটি, চামড়া ও রায়ায়নিক শিল্পের মতো সম্ভাবনাময় শিল্প উদ্যোক্তাদের শুল্ক-কর ও আর্থিক সহায়তা প্রদান বিষয় বিবেচনা করা হবে। একইসঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের বাইরে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য বিশেষ কর সুবিধা দেওয়া বিষয় বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
‘এছাড়া প্লাস্টিক নির্ভর শিল্পের ব্যাপক বিকাশের সম্ভাবনা বিবেচনা করে প্লাস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজির জন্য একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় ১০ কোটি টাকার অনুদান বিষয় আগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে। ’
মন্ত্রী আরও বলেন, শ্রমঘন ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের বিকাশের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ ও পুনঃঅর্থায়নের সুযোগ অব্যাহত থাকবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ সহায়তা সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। পাশাপাশি এ শিল্পের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণকে উৎসাহিত করা হবে।
পর্যটন শিল্পের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে পর্যটন সুবিধা উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পিপিপি-এর আওতায় কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৪