ঢাকা: যে বাজেট পেশ করা হয়েছে তা অত্যন্ত সুন্দর একটি বাজেট। জনগণের ব্যয় যেমন বেড়েছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজেটের আকারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশন শেষে জাতীয় সংসদের গ্যালারি থেকে বেরিয়ে যাবার সময় এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, গতবারও (২০১৩-১৪) বাজেটের পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়নি। এবারও পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে কি না এ নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।
তিনি বলেন, বিরোধীদলের কাজ সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া। আর সে অনুযায়ী জাতীয় পার্টি একটি আদর্শ বিরোধীদল হিসেবে সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশনগুলোতে বাজেট নিয়ে কঠোর সমালোচনা করবে। ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দেবে। যাতে করে দেশ ও জাতি সত্যিই উপকৃত হয়।
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর পেশ করা ২০১৪-১৫ বাজেটে ঘাটতি ও আয় উভয়ই রেকর্ড করেছে। আর ঘাটতি ৫ দশমিক। সরকার চেষ্টা করছে রাজনৈতিক ঘাটতি পূরণ করতে।
তিনি বলেন, এ বাজেটের প্রবিদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা যা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা কোনো ভাবেই অর্জন সম্ভব হবে না। গতবার (২০১৩-১৪) এর মাত্রা ছিলো ৬ দশমিক ২ শতাংশ। সেটা হলেই আমার মনে হয় ভালো হতো।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাজেট কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সারাবিশ্বে মন্দা পরও আমরা ভালো করেছি। যা সত্যি প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, আমাদের অনুদান নির্ভরতাও অনেক কমে এসেছে। আগে যা ছিলো ৪৫ ভাগ আর এখন এর মাত্রা বেশ কমেছে। আগে ৫ ভাগ ঘাটতি ছিলো। এটা সহনীয়। তবে এর নিচে হলে আরও ভালো হয়। সরকারকে সে চেষ্টা চালাতে হবে।
তবে বাজেটের সার্বিক মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি বর্তমান বাজেটকে এক কথায় ‘প্রসংশনীয়’ বলে আখ্যায়িত করেন।
এরশাদ বলেন, সার্বিকভাবে বাজেট ভালো হয়েছে। সব খাতেই পর্যাপ্ত গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ করে শিশু খাতকে নতুন করে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বেশ আশাব্যঞ্জক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৪