সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এসব দাবি লিখিত আকারে জমা দেওয়া হয়েছে।
চার দফার বাকিগুলো হচ্ছে- আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের শুল্ক করের বিপরীতে দেওয়া অঙ্গীকারনামা অবমুক্তির জন্য প্রত্যয়নপত্র জমার সময় বাড়ানো, এমব্রয়ডারি মূলধনী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ কাস্টমস হাউজ থেকে ছাড়ানোর সময় অঙ্গীকারনামা ছাড়া অ্যাসোসিয়েশনের সুপারিশপত্র বাধ্যতামূলক করা এবং ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে রফতানিতে ৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া।
সংগঠনের মহাসচিব আহসান হাবীব দুলাল বাংলানিউজকে জানান, এমব্রয়ডারি শিল্পে ৩ হাজার কোম্পানি রয়েছে; এতে যুক্ত রয়েছেন প্রায় আড়াই লাখ লোক। যেখানে প্রায় ৪ হাজার বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থের বিনিয়োগ রয়েছে। আর এখাত থেকে প্রতিবছর এক থেকে দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জিত হয়।
তিনি বলেন, এমব্রয়ডারি সাধারণত পোশাক শিল্পের উপরই শতভাগ নির্ভরশীল। এই শিল্প প্রতিষ্ঠান পোশাকে সৌন্দর্যবর্ধণ, আকর্ষণীয় ও চাহিদা সৃষ্টি করে গুণগতমান বৃদ্ধি করে দুই-তিনগুণ বেশি দামি সামগ্রীতে পরিণত করে।
‘সাধারণত আমাদের কাজের পেমেন্ট টার্মস ব্যাক টু ব্যাক এলসি হওয়ায় শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের হওয়ায় সবার জন্য বন্ড লাইসেন্স করাও সম্ভব নয়। ’
তাই বাজেটে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তের দাবি জানিয়ে আহসান হাবীব বলেন, এ খাতের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া জরুরি। এটি পেলে দেশে বছরে ২ থেকে আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া আমাদের দাবি-ধাওয়া শুনেছেন। একই সঙ্গে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
এমএফআই/এমএ