রোববার (০৬ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব র্বোডে (এনবিআর) প্রাক বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব করেছে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রস্তাব তুলে ধরেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মোস্তফা হায়দার লিটন।
সংগঠনের লিখিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, আসছে বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে দু’টিতে নামিয়ে আনতে হবে। এর মধ্যে একটি স্তর হবে নিম্নস্তরের সিগারেট, আরেকটি উচ্চস্তরের। এই দুটি স্তরের সিগারেটের মধ্যে নিম্নস্তরের ১০ পিস সিগারেটের দাম ন্যুনতম ৫০ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং উচ্চ স্তরের ১০ পিস সিগারেটের ন্যূনতম দাম ১০০ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এ ছাড়াও সব ক্ষেত্রে প্রতি ১০ পিস সিগারেটে ৫ টাকা কর নির্ধারণ করা।
বিড়ির ক্ষেত্রে বলা হয়, ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার বিভাজন বাতিল করে প্রতিটি বিড়ির সর্বনিম্ন মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ৬ টাকা সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা।
তামাক পণ্যের বিষয়ে বলা হয়, ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্য যেমন-জর্দা ও গুলের প্রতি ২০ গ্রামের সর্বনিম্ন মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা। তার উপরে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অরোপ এবং তারও উপরে ১০ টাকা সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা। পাশাপাশি সব তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা।
তামাকজাত পণ্যের ওপর কর প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে আগামী ২-৩ বছরে প্রায় ৬ দশমিক ৪২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীরা ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে। সিগারেটের ব্যবহার ২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং বিড়ির ব্যবহার ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমবে।
প্রস্তাবের জবাবে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, বিড়ি-সিগারেটের ওপর বর্তমানে অনেক কর ধার্য রয়েছে। তারা সেই পরিমাণে কর দিচ্ছে। তারপরও স্তর ভেদে যে প্রস্তাবগুলো এসেছে। সেগুলো দেখা হবে। বাজেটে বিড়ি দাম বাড়ানো হবে। কারণ এটা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ