বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন। তিনি মোট ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।
মুহিত বলেন, অস্বচ্ছল যুদ্ধাহত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা অথবা নাতি-নাতনিদের সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি ব্যবস্থা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রস্তুত করছে। এজন্য আগামী বাজেটে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য দেশের সব জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ৫৭টি জেলায় ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আমরা দেশের সব সরকারি হাসপাতালে ও ১৬টি বিশেষায়িত হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা খরচে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি জানান, ‘ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৮৫২টি ইউনিট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ১১৯টি ইউনিট নির্মাণাধীন। এছাড়াও ৮ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে আবাসন সুবিধা দিতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সব বে-সামরিক, সামরিক, শহীদ, খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮’ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। যা বর্তমানে জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী অর্থবছর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বৈশাখী ভাতা ও বিজয় দিবস ভাতা চালু করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও স্মৃতি সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধকালে মিত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনাসমূহ মেরামত ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরা ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে সকল জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর-কাম-লাইব্রেরি নির্মাণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
আরএম/এইচএ/