জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (৭ জুন) ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এ কথা জানান মুহিত। অর্থবছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিপরীতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ দিয়েছেন ৬ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের ব্যানারে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ও বহুমুখী ব্যবহার আমাদের অভিষ্ট প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং দারিদ্র্যতা হ্রাস ও সামাজিক গতিশীলতা বাড়াতে সহায়তা করছে। সামনের দিনগুলোতে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা সুসংহত ও টেকসই করার জন্য জিডিপিতে শিল্পখাতের তুলনামূলক অবদান বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে চাই। ফলে সামনের দিনগুলোতে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভরতা আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোর শক্ত ভীত তৈরি হয়েছে। তারপরও চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা নতুন অবকাঠামো নির্মাণ ও ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণের কাজ করছি।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ৬টি বিভাগ থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৪.৪০৮ জিবিপিএস এবং জেলা থেকে বিভাগ পর্যন্ত মোট ৫.৯২৮ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ প্রদান এবং ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক (ফোরজি, এলইটি) স্থাপনের উদ্যোগ।
তরুণদের জন্য উদ্ভাবন একাডেমি করার কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যুগের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তরুণদের নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করা, তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও উদ্ভাবিত সামগ্রী ব্র্যান্ডিং ও বাণিজ্যিকীকরণ, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে আমরা ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি’ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি। উদ্ভাবনভিত্তিক ব্যক্তি উদ্যোগের বিকাশ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলা ও কর্মসংস্থানে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
জনসেবায় প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো ও সরকারি সেবা সহজীকরণে ইউটিলিটি পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম (ইউপিপি) স্থাপন করা হচ্ছে; উপবৃত্তির টাকা পৌঁছানোর জন্য ২০ লাখ ‘মা’কে দেওয়া হচ্ছে টেলিটকের সিম।
বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী দ্বীপ মহেশখালীকে ডিজিটাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার কাজ চলছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দ্বীপের অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে। ফলে শহর ও দ্বীপাঞ্চলের অধিবাসীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধান কমে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এমআইএইচ/আরআর