শনিবার (৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ই-ক্যাব আয়োজিত ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেট প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাবের নেতারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্সের মধ্যে ভার্চুয়াল বিজনেস ও অনলাইন পণ্য বিক্রির বিষয় দুটিকে আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
বাজেটে প্রণিত এই আলাদা আলাদা সংজ্ঞার বিপরীতে ই-ক্যাব প্রস্তাবিত সমন্বিত সংজ্ঞাটি হলো- যাদের নিজস্ব কোনো বিক্রয়কেন্দ্র নেই এবং ইলেক্ট্রনিক্স নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বেচাকেনা ও আর্থিক লেনদেনের জন্য ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং যাদের নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্র থেকেও অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় ও আর্থিক লেনদেন করে তারা বা ওই প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের অন্তর্গত থাকবে।
ই-কমার্সকে আরও বিকশিত করতে দীর্ঘমেয়াদী মূসক থেকে অব্যাহতি দিতে হবে উল্লেখ করে ই-ক্যাবের নেতারা আরও বলেন, এদেশে অনলাইন ব্যবসার প্রসার যতটুকু হয়েছে তার জন্য সরকারের সহায়তাই বেশি। এই খাতটিকে জনপ্রিয় করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে দীর্ঘমেয়াদী বা কমপক্ষে আগামী ১০ বছর ই-কমার্সের উপর মূসক সম্পূর্ণরুপে অব্যাহতি দিতে হবে। কেননা এখনও অনলাইনে ব্যবসা শুধু শহরকেন্দ্রিক হয়ে আছে। এটাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে না দিলে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। তাছাড়া বেকারত্ব দূরীকরণে অবদান রাখা এই খাতে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় আসেন। তাদের উপরে এই পরিমাণ কর আরোপ করায় তারা অনুৎসাহিত হচ্ছে।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক, অর্থ-সম্পাদক মো. আব্দুল হক, যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, আশিক চক্রবর্তীসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৮
এমএএম/আরআর