বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) ফোরামের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমদানিকৃত গুঁড়া দুধের ওপর আগের মতোই ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকবে যা এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় এক কোটির বেশি মানুষের জীবিকার পথ সুগম হয়েছে বলে মনে করছেন ফোরামের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
দুগ্ধশিল্প বাংলাদেশের একটি ক্রমবর্ধমান শিল্প। অতীতে এদেশের প্রায় ৮০% গ্রামীণ জনগোষ্ঠী গতানুগতিক পদ্ধতিতে দুগ্ধ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকলেও বর্তমানে তা বাণিজ্যিক আকার ধারণ করেছে। দুধ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত খামারীদের একটা বড় অংশ নারী। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিক্ষিত যুবসমাজের ডেইরি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন যা এই শিল্পকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ও স্বয়ংসম্পূর্ণ রূপ দিয়েছে।
সরকারি হিসাব মতে, গত এক দশকে বাংলাদেশে দুধের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে দুধের মোট উৎপাদন ৯.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন যা দেশের মোট চাহিদার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পূরণ করতে সক্ষম। এদেশে রেজিস্ট্রেশনভূক্ত খামারীর সংখ্যা লক্ষাধিক। বর্তমানে দেশের জিডিপিতে প্রাণিসম্পদের অবদান প্রায় ২ শতাংশ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা, গাভীর জাত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের নিরলস প্রচেষ্টা, দুগ্ধ খামার উন্নয়নে সরকারের গাভী ঋণ ব্যবস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ এ খাতকে করেছে আরও সমৃদ্ধ।
সম্প্রতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে গুঁড়া দুধের ওপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। ফলে এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সৃষ্টি হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া।
এ অবস্থায় এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি অনুধাবন করে গত ২৭ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পূর্ব অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে পূর্বের ন্যায় ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল রাখার সিদ্ধান্ত জানান। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে দেশের দুগ্ধ শিল্প সংশ্লিষ্টরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এনএইচটি