বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় জাপার কো-চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, ঘাটতি পূরণ করতে গিয়ে সরকার অগ্রাধিকার খাতগুলোর বরাদ্দ ঘোষণা অনুসারে রাখা হয় না। স্বাস্থ্যখাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, অনেক সময় অর্থের ঘাটতিতে তা কমে যায়। এতে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জাপার কো-চেয়ারম্যান বলেন, ঘাটতি পূরণে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ভালো না। রাজস্ব আদায় গত বছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই ঘাটতি আরও বেশি হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঘাটতি পূরণে ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া হলে ব্যবসাখাতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বড় বাজেট ভালো, কিন্তু ঘাটতি বাজেট ভালো না। এবার এতো বেশি ঘাটতি যে আরও বেশি ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বকালের বৃহৎ বাজেট দেওয়ায় সরকার ও অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন। একটি গরীব দেশে এতো বড় বাজেট জনগণের উপকারে আসবে বলে আমরা আশা করছি।
এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দরাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে বড় আকারের ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এসএইচ