২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার্থে টেলিকম খাতের যে বিষয়গুলো আমরা দীর্ঘ সময় ধরে উত্থাপন করে আসছি, সেগুলো এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলিত না হওয়ায় আমরা আশাহত।
তিনি বলেন, দেশের ডিজিটাল বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের সাশ্রয়ী রেটে সেবা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এছাড়া সিমের ওপর কর ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক ও সিম করের এ বৃদ্ধি দেশে ডিজিটাল সেবার প্রসারকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আমরা মনে করি। এর পাশাপাশি স্মার্টফোনকে উচ্চবিত্তদের ব্যবহারযোগ্য পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ফোরজি সেবা চালু হওয়ার পর থেকে দেশের জনসাধারণের মধ্যে স্মার্টফোনের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে, কারণ সব শ্রেণির মানুষ বিভিন্ন ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যম হিসেবে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
এছাড়া বাজেটে মোবাইল কোম্পানির আয়ের ওপর সর্বনিম্ন শুল্ক ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে যেসব মোবাইল কোম্পানি এখনো লাভজনক নয় সেগুলোর করের বোঝা আরও বেড়ে যাবে এবং শেয়ার হোল্ডাররা এগুলোতে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত হবে।
আমরা বাংলাদেশ সরকারকে দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ ও সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এ বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনার জন্য আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এমআইএইচ/ওএইচ/