রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ডিএসসিসি নগর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাজেট ঘোষণা করেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
এবারের বাজেটের আকার তিন হাজার ৬৩১ কোটি ৪০ লাখ।
প্রতিবারের মত এবারও বাজেটে করপোরেশনের আয়ের বড় অংশ হিসেবে ধরা হয়েছে কর থেকে। বিভিন্ন ধরনের কর বা রাজস্ব খাত থেকে ৩৫০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজার সালামি থেকে ৩১০ কোটি টাকা, ট্রেড লাইসেন্স থেকে ৯০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ডিএসসিসি। এছাড়াও সম্পত্তি হস্তান্তর কর থেকে আয় ধরা হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।
ব্যয়ের দিক থেকে সব থেকে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য ক্ষেত্রের ব্যয়ে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। এছাড়া মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এছাড়াও বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ও গ্যাস খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯ কোটি টাকা। কল্যাণমূলক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় শহরের উন্নয়নে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ সফলতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে দাবি করেন মেয়র সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, ডিএসসিসির সব কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ঢাকাকে আমরা বাসযোগ্য শহর করে গড়ে তুলতে পেরেছি। ডিএসসিসির সার্বিক কর্মকাণ্ডে আমরা গতিশীলতা এনেছি। নগরবাসীর আস্থা অর্জন করেছি। বিগত চার বছরে যেসব উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে তা বিগত এক দশকেও করা সম্ভব হত না। অতীতের কোনো সময়ে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি।
সবার সহযোগিতায় ঢাকাকে আন্তর্জাতিক মানের শহরে পরিণত করার অঙ্গীকার করেন সাঈদ খোকন।
বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর জাহিদ হাসানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এসএইচএস/আরবি/