বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করে এ প্রস্তাব রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মহামারি করোনা ভাইরাস সংকটময় পরিস্থিতি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তায় রেখে এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।
বাজেটের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে বলা হয়েছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৭১৭ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে রাখা হয়েছিল ২ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের অর্থ বছরের চেয়ে এবার ৫০২ কোটি টাকা কম রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ইসির জন্য বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছিল ১ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। সংশোধীত বাজেটে যা ২ হাজার ২১৯ কোটি টাকা করা হয়।
এবারের প্রস্তাবনায় ইসির জন্য পরিচলনা ব্যয় বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে ১ হাজার ৯৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুন। আর উন্নয়ন খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে ৬২২ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় তিনের একভাগ।
পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় বিভিন্ন নির্বাচন পরিচালনায়। চলতি বছর করোনা প্রকোপ কেটে যাওয়া সাপেক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন, জাতীয় সংসদের তিনটি উপ-নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সাধারণ ও উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সারাদেশের পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের কর্মযজ্ঞও হাতে নিতে হবে ইসিকে।
নির্বাচন কমিশনের উন্নয়ন ব্যয় হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোতে। বর্তমানে দু’টো প্রকল্প চলমান রয়েছে সংস্থাটির।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তব্য পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
ইইউডি/ওএইচ/