ঢাকা: ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে পোশাকখাতসহ রপ্তানি খাতের উৎসে কর হার দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, কর রাজস্ব আহরণের প্রধানতম খাত হচ্ছে উৎস কর সংগ্রহ। আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। অতএব, রাজস্ব নীতি প্রণয়নে উৎসে কর হার যৌক্তিকীকরণের গুরুত্ব সর্বাধিক। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যমান কর্পোরেট কর হার বিবেচনায় ব্যাংক সুদের উৎসে করহার কোম্পানি করদাতার জন্য ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ এবং রপ্তানিকৃত পণ্যদ্রব্যের ওপর উৎসে করহার ০.৫ শতাংশের পরিবর্তে ১ শতাংশে বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করছি।
এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনিবাসী করদাতার কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ বাবদ প্রেরিত অর্থের ওপর উৎসে করের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। অবৈধ পন্থায় বিদেশে অনিবাসীর বিল পরিশোধ নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে কতিপয় সেবা ছাড়া অন্যান্য সব বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে অনিবাসী হতে ৩০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাকের বিদ্যমান প্রযোজ্য কর হার সাধারণ ফ্যাক্টরির জন্য ১২ শতাংশ এবং গ্রিন ফ্যাক্টরির জন্য ১০ শতাংশের বিধান প্রচলিত রয়েছে। রপ্তানি খাতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণকে উৎসাহ প্রদান ও সব ধরনের রপ্তানি শিল্পকে সমতাভিত্তিক সুবিধা প্রদানের নিমিত্ত গার্মেন্টসের ন্যায় অন্যান্য পণ্য বা সেবা রপ্তানি খাতকে হ্রাসকৃত কর হার সুবিধা তথা সাধারণ শিল্পের জন্য ১২ শতাংশ এবং গ্রিন শিল্পের জন্য ১০ শতাংশ কর হার প্রস্তাব করছি।
তবে প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য এবার সুখবর এসেছে। পোশাক খাতের মতো সব রপ্তানি খাতের প্রতিষ্ঠানের করহার ১২ শতাংশ এবং সবুজ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। বস্ত্র খাতের সব শিল্পের ১৫ শতাংশ করহারের মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। এর মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ