ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্যারিয়ার

৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি

ঢাকা: নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ৪৩তম বিসিএসের ফলপ্রত্যাশী একদল চাকরিপ্রার্থী। এছাড়া ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফল আলাদা প্রকাশ এবং পর্যাপ্ত সময় নিয়ে নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে তারা।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন আয়োজিত হয়।

৪৩তম চয়েজ লিস্ট (বাছাই তালিকা) বাতিল করে অধিক সংখ্যক প্রার্থীর চাকরির সুপারিশের ব্যবস্থা করা এবং পূর্বের বিসিএসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বৈষম্য হ্রাসের দাবিও জানিয়েছে তারা।

মানববন্ধনে ফলপ্রত্যাশী বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় চাকরির পদসংখ্যার বিপরীতে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হয়। সেখান থেকে শূন্য পদের বিপরীতে প্রথমে ক্যাডারদের ঘোষণা করা হয়। উত্তীর্ণ হওয়ার পরও শূন্য আসন পদ না থাকায় বাকিরা নন-ক্যাডারভুক্ত হন। বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) নন-ক্যডারদের ফল ক্যাডারদের ফল ঘোষণার কয়েক মাস পর করে। এরমধ্যে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানায় যে, তাদের কাছে যোগ্য প্রার্থী রয়েছে, কোথাও শূন্যপদ থাকলে তাদের যেন জানানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে শূন্য পদগুলো বের করে আনে। এভাবে নন-ক্যাডারদের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পূর্বেই অনেকগুলো শূন্য পদ তৈরি হয়ে যেত।  

তারা বলেন, কিন্তু এবার ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারদের একসাথে ফলাফল দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে সময় স্বল্পতার কারণে অন্যান্য বিসিএসের তুলনায় ৪৩তম বিসিএসে পদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।

ফলপ্রত্যাশীদের দেওয়া একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, নন ক্যাডারদের জন্য ৯ম গ্রেডের পদসংখ্যা ছিল ৪০তম বিসিএসে ১৬০৪টি, ৪১তম বিসিএসে ১০৪৩ টি। কিন্তু ৪৩তম বিসিসএসে সে সংখ্যা মাত্র ১৯৬টি। ১০ম গ্রেডের পদসংখ্যা ছিল ৪০তম বিসিএসে ১১০৮টি, ৪১তম বিসিএসে ২৬০১টি। ৪৩তম বিসিএসে তার সংখ্যা ৮৬১টি। এভাবে ১১তম ও ১২তম গ্রেডেও উল্লেখ্যযোগ্য হারে আসন কম রয়েছে।

এ বিষয়ে ফলপ্রত্যাশী মো. ফখরুল আলম বলেন, আমাদের যে স্বল্প পদ দেওয়া হয়েছে, অন্যান্য বিসিএসের সাথে তুলনা করলেই দেখা যায় আমরা চরম বৈষম্যের শিকার। এভাবে চললে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একইসাথে সরকারের অর্থ অপচয় বাড়বে। আমরা চাই আগের বিসিএসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হোক।  

আরেক ফলপ্রত্যাশী তন্ময় বাড়ৈ বলেন, আমাদের জন্য পদসংখ্যা অত্যন্ত কম। নন ক্যাডারে ৯ম গ্রেডের যে ১৯৬টি আসন রয়েছে তারমধ্যে জেনারেলদের জন্য মাত্র ৩৬টি আসন। আগেও নন-ক্যাডারের সবাই যে চাকরি পেতেন তা নয়। তবে একটি উল্লেখযোগ্য মানুষ চাকরি পেতেন। কিন্তু এবার এমন করে ফেলা হয়েছে যে, আপনি ক্যাডার হলেই কেবল চাকরি পাবেন, না হয় আশা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।