ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্যারিয়ার

ক্যারিয়ার গড়তে বাগেরহাট মেরিন ইনস্টিটিউট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৭ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
ক্যারিয়ার গড়তে বাগেরহাট মেরিন ইনস্টিটিউট ...

বাগেরহাট: মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ালেখা করা মানেই নিজেকে নৌ পেশায় সম্পৃক্ত করার সুবর্ণ সুযোগ। এ পেশার সব চাকরিই সৌখিন ও আনন্দময়। আপনিও পারেন আপনার স্বপ্নের রঙিন ক্যারিয়ার হিসেবে এ সৌখিন পেশাকে বেছে নিতে।

জাহাজ শিল্পে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকলে পড়তে পারেন ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে। বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়ক সংলগ্ন সদর উপজেলার চিতলী-বৈটপুর গ্রামে নির্মল পরিবেশে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এ প্রতিষ্ঠানটি।

 

প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ইন মেরিন ও শিপবিল্ডিং টেকনোলজি এই দুটি ট্রেডে ৫০ জন করে প্রতিবছর ১০০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পরেই কেন্দ্রীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় দেশের ছয়টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে ভর্তির জন্য। এ বছরও যথারীতি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ১২ মে থেকে ৮ জুন পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।

২০১৭, ১৮ ও ১৯ সালের মধ্যে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভকেশনাল), দাখিল  (ভকেশনাল), পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। তবে ছেলেদের জন্য গণিত জিপিএ ৩.০০ বা উচ্চতর গণিতে নূন্যতম ৩.৫০ জিপিএ থাকতে হবে। এবং মেয়েদের জন্য ওই দুইটি বিষয়ে নূন্যতম জিপিএ ৩.০০ পেলেই আবেদন করতে পারবে। এছাড়া যেকোনো একটি বিষয়ে ‘সি’ এবং গণিতসহ যেকোন দুটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘ডি’ গ্রেডসহ ‘ও’ লেভেল পাস করা শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদনের পর ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীর ফলাফল অনুযায়ী তাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এ প্রতিষ্ঠানে পড়তে শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো খরচ হবে না। উপরন্তু প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে উপবৃত্তি দেবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

চার বছর মেয়াদি এ কোর্স শেষ করে শিক্ষার্থীরা সমুদ্রগামী জাহাজে প্রথমে ক্যাডেট হিসেবে পরে প্রমোশন পেয়ে ইঞ্জিনিয়ারও হতে পারবেন। এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, শিপইয়ার্ড, বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ রয়েছে।

২০১৩ সালে স্থাপিত এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম ব্যাচের প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা পর্যায়ের পড়াশুনা শেষ করেছে। যাদের অনেকেই এখন বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করছেন। কেউ কেউ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছেন।

এছাড়া দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে এ প্রতিষ্ঠানে ইলেক্ট্রিক্যাল ইনস্টেলেশন ও মেইনটেন্যান্স এবং কম্পিউটার টেকনোলজিতে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেড কোর্স চালু রয়েছে। বিদেশগামীদের জন্য রয়েছে তিনদিন মেয়াদি দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে ইলেক্ট্রিক্যাল ইনস্টেলেশন ও মেইনটেন্যান্স, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশন, প্লাম্বিং ও পাইপ ফিটিং, ড্রাইভিং কোর্স চালুর প্রক্রিয়া চলছে প্রতিষ্ঠানটিতে।

ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এমডি শামীম হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, সরকার দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। এসএসসি পাস করেই একজন শিক্ষার্থী এখানে পড়াশুনা করে জাহাজ শিল্পসহ বিভিন্ন সেক্টরে চাকরির সুযোগ পায়। পাশপাশি বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানেরও সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রয়েছে সুসজ্জিত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ প্রাক্টিকাল ল্যাব। যেখানে শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতার সঙ্গে হাতে কলমে কাজ শেখানো হয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থী এখানে বিনামূল্যে শিক্ষা নিতে পারে। এছাড়া দূর দূরান্তের শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য আলাদা হোস্টেল ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
এনটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।