পঞ্চগড়: হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা জেলার তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে, ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এখানে তীব্র ঠাণ্ডা অব্যাহত রয়েছে। এতে করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সকাল ৮টা নাগাদ সূর্যের মুখ দেখা গেলেও ঠাণ্ডা কমেনি।
এদিকে গভীর রাত থেকে হিম শীতল বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোটার মতো ঝরে পড়া ঘনকুয়াশা ঠাণ্ডাকে আরও কঠিন করে তুলেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষরা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের মানুষদের নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৯টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়, ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এদিকে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রীর ঘরে।
শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকার ব্যবসায়ী রাশেদ বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে ঠাণ্ডার পাশাপাশি ঘন কুয়াশার পরিমাণ অনেক বেশি। এসময় জনসমাগম একেবারে কমে যাচ্ছে। ঠাণ্ডার কারণে অনেকে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।
রিকশা চালক জয়নাল বাংলানিউজকে বলেন, যে পরিমাণ ঠাণ্ডা ও কুয়াশা তাতে রাস্তায় চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। এ সময়ে বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল।
দিনমজুর রিয়াজ উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, পাথর লোড-আনলোডের কাজ করি। কিন্তু ঠাণ্ডার কারণে গত কয়েকদিন ধরে কাজে যেতে পারছি না। এখনো শীত বস্ত্র পাইনি। যদি একটি কম্বল কেউ দেয় তাহলে আমার পরিবারের জন্য অনেক উপকার হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
জেডএ