ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: রাতেই দেখানো হতে পারে মহাবিপদ সংকেত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: রাতেই দেখানো হতে পারে মহাবিপদ সংকেত ফাইল ছবি

ঢাকা: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার রাত থেকেই মহাবিপদ সংকেত দেখানো হতে পারে।  

শনিবার (২৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস, ভারতের আবহাওয়া অফিস, চীনের আবহাওয়া অফিস, জাপানের আবহাওয়া অফিস এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পরিষ্কার বুঝতে পারছি ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। আমরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।  

মহিববুর রহমান আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত আছে। আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে তিন নম্বর সংকেতে চলে যাবে। সন্ধ্যা নাগাদ বা রাতে চার নম্বরের ওপরে এবং রাতের বেলা বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাত ৮টায় আবার এই মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ১১টায় আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছি। এক কথায় এ ঘূর্ণিঝড় আসন্ন, সেটা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আমাদের কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছি।  

কয়টি জেলা আক্রান্ত হতে পারে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকায় প্রভাব পড়ার ঝুঁকি আছে। এখন ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থান করছে, পায়রা ও মোংলা বন্দরের সরাসরি দক্ষিণে।  

সিডরের মতো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে কি না—জানতে চাইলে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা বিপজ্জনক হতে পারে রাত ১২-১টা নাগাদ। এটা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের পর্যায়ে চলে যেতে পারে, এরকম একটা ঝুঁকি আছে।  

তিনি বলেন, রোববার ভোর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি প্রাথমিক আঘাত হানতে পারে। কালকে সন্ধ্যা নাগাদ মূল আঘাত হানবে। পূর্বাভাসে আমরা এরকমই বুঝতে পারছি এবং আজকে রাত ১২টা-১টা থেকেই এটা বিপজ্জনক পয়েন্টে চলে যেতে পারে।  

তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় জেলায় আমাদের প্রায় চার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র আছে। এগুলো প্রস্তুত রেখেছি। খাদ্যের জন্য আমাদের প্রত্যেকটি জেলায় গুদামে পর্যাপ্ত শুকনো খাবারসহ যেসব জিনিস দরকার হবে এগুলো মজুত রেখেছি। প্রয়োজনে ঢাকা থেকে যাতে আরও সাপ্লাই দিতে পারি, এ জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।  

৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন, সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৪ 
এমআইএইচ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।