ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে রোদ-বৃষ্টির শেষ শীতের আগাম বার্তা নিয়ে এলো হিমেল বাতাস আর কুয়াশা। মাঝরাতে মৃদু বাতাসে শরীরে ঠান্ডা লেগে যায়।
সবজিচাষি ঠাকুরগাঁ সদর উপজেলার মিয়াজী পাড়া গ্রামের মতিউর রহমান বলেন, টানা কয়েকদিন ধরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এই কারণে শাকসবজিতে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ হয়। এতে ফলন কম হয় শাকসবজির। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক সার ব্যবহার করতে হয়। তাই এই সময় সবজির দাম বেশি। এদিকে দিনে গরম থাকলেও মাঝরাতে মৃদু বাতাস এই ঠান্ডা লেগে যায় । তাই মাঝরাতের পর থেকে হালকা শীতের কাপড় গায়ে না দিলেই ঠান্ডার অনুভূতি বাড়তে থাকে। শেষ রাত থেকে গায়ে চাদর দিয়ে ঘুমাতে হয়।
ঠাকুরগাঁও সাংবাদিক রবিউল হাসান রিপন বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে শীতের আগাম বার্তা জানিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। তাই এখন থেকে আমাদের শীতের প্রস্তুতি নিতে হবে। শীত শুরু না হতেই শীতবস্ত্র যদি সরকার আগেই বিতরণ করেন তাহলে হয়তো নিম্নশ্রেণির মানুষেরা শীতের সাথে মোকাবিলা করতে পারবে। কারণ হিমালয়ের পাদদেশে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও শীতের প্রকোপ বাড়ে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি হওয়া উঁচু-নিচু জমির সবজি চাষে বৃষ্টির পানি ও শীতের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস দেখা দিতে পারে । কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ে কর্মীরা কারিগরি সহায়তাসহ বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিচ্ছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগাম শীতকালীন সবজি বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করেন কৃষি বিভাগ।
জেলা অফিসের উপ পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় এ অঞ্চলে একটু আগেই শীত নামতে শুরু করে। গত কয়েকদিন ধরে এখানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইশরাত ফারজানা বলেন, দেশের অন্য জেলার চেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে।
শীত মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৪
এএটি