এদিকে শুক্রবার (০৩ মে) দুপুরের মধ্য ভোলা উপকূলের ৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে বলে জানিয়েছেন ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শোষে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জেলার সাত উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ৬৫৭টি। যার মধ্যে ধারণ ক্ষমতা সাড়ে ৫ লাখ। আমরা আশা করছি ৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পারবো।
জেলা প্রসাসক বলেন, জেলার বিভিন্ন দুর্গম দ্বীপ চরের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে। যাদের আশ্রয় কেন্দ্রে স্থান হবে না তাদের মূল ভূখন্ডে নিয়ে আসা হবে। ৭টিসহ মোট আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতিঃ সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮ টি কন্ট্রোল রুম। সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল। ৯২ টি মেডিকেল টিম গঠন। প্রতিবন্দীদের জন্য ৮০ সদস্যের আলাদা টিম গঠন। জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাঠে কাজ করছে ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মী।
ভোলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (সিপিপি) উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন জানান, ঝড় মোকাবিলায় মাঠে রয়েছে ১০ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী। তারা উপকূলীয় এলাকায় প্রচার প্রচারণা এবং উপকূলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে কাজ করছে।
ভোলা রেডক্রিসেন্ট যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু জানান, রেডক্রিসেন্টের দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছেন। তারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে ভোলা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মাহবুব ররহমান বলেন, ঘূর্নিঝড়টি চট্টগাম থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম, কক্সনবাজার থেকে ৮৮৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা বন্দর থেকে ৭৩৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম ও পায়রা বন্দর থেকে ৭৬০ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিম কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্নিঝড়ের প্রভাব থাকলেও বৃহস্পতিবার দিনের তাপমাত্রা ছিলো ৩৪. ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঝড়টি শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। এতে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এমএমএস