ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উপকূল থেকে উপকূল

নিরাপদ আশ্রয়ে সোনাগাজী উপকূলের মানুষ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫০ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৯
নিরাপদ আশ্রয়ে সোনাগাজী উপকূলের মানুষ  নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছে মানুষ/ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিয়েছেন ফেনীর সোনাগাজী উপকূলের মানুষ। শুক্রবার (৩ মে) বিকেল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসতে শুরু করেন তারা। ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্র।

সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় ফেনীর উপকূলীয় অঞ্চল সোনাগাজী উপজেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে রয়েছে ফেনী জেলা প্রশাসন।  
সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল পারভেজসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেছেন, সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৪৩টি সাইক্লোন শেল্টার। এতে আশ্রয় নিতে পারবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।  

জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়, যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থেকেও নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চাইবেন না, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় জোর করে হলেও সরিয়ে নেওয়া হবে তাদের। মাঠে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফেনী রেড ক্রিসেন্ট ও সোনাগাজী উপকূলীয় রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায় সদস্যরা।  

জেলা প্রশাসক বলেন, সমুদ্র উপকূলীয় ৫০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাত থেকে রক্ষা করতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থেকেও নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চাইবেন না, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় জোর করে হলেও সরিয়ে নেওয়া হবে তাদের।

তিনি বলেন, দুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার, ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রয়েছে। দুইশ মেট্রিকটন চাল, দুই হাজার বস্তা শুকনা খাবারের মধ্যে পাঁচশ বস্তা শুকনো খাবার সোনাগাজী উপজেলায় নিজ নজি কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৭৮টি মেডিকেল টিম। একটি টিমে চিকিৎসকসহ পাঁচজন করে সদস্য রয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তী সময় মোকাবিলা করতেও বিশেষ ব্যবস্থা নিতে মাঠে রয়েছে টিম।

তিনি আরো জানান, উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। ৭ নম্বর সিগন্যাল পাওয়ার পর ঘরবাড়ি থেকে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এসএইচডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।