ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে নন-ফিকশন বইমেলা ২০২২। এ মেলায় অংশ নিচ্ছে দেশের প্রথম সারির ৪০টি প্রকাশনা ও গবেষণা সংস্থা।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিশেষ এ বইমেলার উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন চেয়ারম্যান ও ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন মেলার সহ-আয়োজক ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন।
বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও লংকাবাংলা ক্যাপিটাল মার্কেট অপারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সময় প্রকাশন-এর প্রকাশক ও স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ, অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক ও স্বত্বাধিকারী মিলন কান্তি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ইন্ডাস্ট্রি এবং অ্যাকাডেমি যে যৌথভাবে ভিন্নধর্মী আয়োজন করতে পারে, নন-ফিকশন বইমেলা তার বড় উদাহরণ। বণিক বার্তা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ উদ্যোগ নিলেও এ বইমেলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। কারণ, এমন আয়োজন দ্বিতীয়টি নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ নন-ফিকশন বইমেলা আয়োজনের সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা। হয়তো এ মেলা দেখে একসময় জাতীয়ভাবে নন-ফিকশন বইমেলার আয়োজন করা হবে। আর এর বীজ বপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বণিক বার্তা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বণিক বার্তা যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন ইনোভেটিভ কার্যক্রম পালন করে আসছে। নন-ফিকশন বইমেলা তারই ধারাবাহিকতা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে সামনে রেখে আমরা তথ্য প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। কিন্তু আইটিতে কোনো কিছুই দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখা যায় না। হারিয়ে যায়। আবার প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করতে হয়। কিন্তু বইয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। হাজার বছর আগের বইও একদম অপরিবর্তিত রাখা যায়।
তিনি বলেন, বই পড়া আনন্দের। এটা উপভোগ করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, ফিকশন বই নিয়েই সবাই আগ্রহী। কিন্তু নন-ফিকশন বইয়ের অনেক বেশি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিন দিনব্যাপী এই নন-ফিকশন বইমেলা আগামী বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এ বছর মেলায় অংশ নিচ্ছে- আদর্শ, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, অনিন্দ্য প্রকাশ, আলোঘর, অবসর প্রকাশনা সংস্থা, এএইচ ডেভেলপমেন্ট পাবলিশিং হাউজ, অ্যাডর্ন পাবলিকেশন, সংহতি প্রকাশন, শ্রাবণ প্রকাশনী, বাংলা অ্যাকাডেমি, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড, বাতিঘর, অন্যপ্রকাশ, সময় প্রকাশন, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, আগামী প্রকাশনী, প্রথমা প্রকাশন, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, পাঠক সমাবেশ, ঐতিহ্য, নালন্দা প্রকাশনী, দিব্যপ্রকাশ, তাম্রলিপি, রকমারি, জাগৃতি প্রকাশনী, অনুপম প্রকাশনী, মাওলা ব্রাদার্স, অনন্যা, কথাপ্রকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা, কাকলী প্রকাশনী, সাহিত্য প্রকাশ, একাডেমিক প্রেস অ্যান্ড পাবলিশার্স লাইব্রেরি, স্বরে অ, ডেইলি স্টার বুকস, বেঙ্গল পাবলিকেশন্স, ভাষাচিত্র, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট এবং কোয়ান্টাম প্রকাশনী।
মেলায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টল থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়ে বই কেনার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। বই বিকিকিনির পাশাপাশি আগত দর্শনার্থীদের জন্য ফটো কনটেস্ট ও র্যাফেল ড্রর আয়োজনও থাকছে। এসব প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নেয়ার সুযোগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
এনএস