ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

‘ওয়ালটন পণ্যের মতো অনেক কিছুই বিশ্বজুড়ে রপ্তানি হচ্ছে’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
‘ওয়ালটন পণ্যের মতো অনেক কিছুই বিশ্বজুড়ে রপ্তানি হচ্ছে’

ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, এক সময় দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে প্রচুর ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানি করা হতো। তবে ওয়ালটন এসব পণ্য এখন দেশেই উৎপাদন করছে।

বর্তমানে স্থানীয় ফ্রিজের বাজারে প্রায় ৭০ শতাংশ চাহিদা ওয়ালটন একাই পূরণ করছে। পাশাপাশি ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশ শুধু বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক বা রপ্তানিকারক দেশ নয় বরং ওয়ালটনের তৈরি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মতো অনেক কিছুই বাংলাদেশ এখন রপ্তানি করছে।   

বুধবার (৯ মার্চ) দুবাই ফেস্টিভ্যাল সিটির হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব: নেটওয়ার্কিং ডিনার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে বিএসইসি অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।  

এতে সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। অনুষ্ঠানে আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারী এবং স্টেক হোল্ডাররা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।  

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির করপোরেট সেলস বিভাগের প্রধান মো. সিরাজুল ইসলাম, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক, অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটনসহ বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখন তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা এখন প্রত্যেক গ্রামে পৌঁছে গেছে। সরকারি অফিসগুলোকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অনায়াসেই কোম্পানি বা ব্যবসার নিবন্ধন করতে পারছেন। বাংলাদেশ এখন বিদেশি বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থান।  

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আসা অতিথিরা বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।  

‘ভোট অব থ্যাঙ্কস’ পর্বে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের সিবিও আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশ অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে আমরা দেখছি বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি ও সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পখাত অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন শুধু ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণই নয় বরং বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন পণ্য বিশ্বজুড়ে রপ্তানি হচ্ছে। ওয়ালটন এখন বিশ্বের ৫টি শীর্ষ ব্র্যান্ডের কাতারে আসার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) আবুধাবির এমিরেটস প্যালেস হোটেলে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিট) আরেকটি ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।