ঢাকা: এনআরবিসি ব্যাংক কার্যক্রমের ৯ বছর অতিক্রম করে ১০ম বছরে পদার্পণ করেছে। স্বপ্ন জয়ের ৯ বছর উদযাপন করেছেন ব্যাংকের পরিচালক ও উদ্যোক্তারা।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা বলেন, ভিন্নধর্মী ব্যাংকিংসেবায় এনআরবিসি ব্যাংক গ্রাম-বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। কল্যাণমুখী এ কার্যক্রমের সঙ্গে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ও ম্যানেজমেন্টর সঙ্গে আমরা একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে প্রধান কার্যালয়ের আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী সব পরিচালক ও উদোক্তারা সরাসরি ও ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল, পরিচালক এ এম সাইদুর রহমান, একে এম মোস্তাফিজুর রহমান, উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মামুন ও আরিফ সিকদারকে ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্ড সিইও গোলাম আউলিয়া।
এছাড়া ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (৩ এপ্রিল) সারাদেশে সব শাখা ও উপ-শাখায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
২০১৩ সালের ৫৩ জন প্রবাসী উদ্যোক্তার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান এনআরবিসি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে উদ্যোক্তারা বলেন, মানবিক কর্মকাণ্ড ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য সমসাময়িক সব ব্যাংকের তুলনায় অনেক এগিয়ে এনআরবিসি ব্যাংক। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ব্যাংকিংসেবা দিতে সারাদেশে উপ-শাখা খোলা হচ্ছে। স্বল্প সুদে ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের এসব উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। ব্যাংকের অভাবনীয় অগ্রগতিতে একটি কুচক্রী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। পরিচালক ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমরা বর্তমান কর্মকাণ্ডের প্রতি পরিপূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। ব্যাংকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও অপচেষ্টা আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করব।
ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিঞা আরজু বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক সুশাসনের মাইলফলক। ২০১৭ সালে যে ব্যাংকটি ডুবতে বসেছিল আজ সেই ব্যাংকের কার্যক্রম অন্য ব্যাংক অনুসরণ করছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, দক্ষ জনবল বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের ব্যাংকিংসেবা দিচ্ছি। শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদে ব্যাংকিংসেবা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করেছে ব্যাংকটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা। উপ-শাখার মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রবাসীরা যে উদ্দেশে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম গত ৯ বছরে সেই লক্ষ্য অর্জনে অনেকটাই সফল হয়েছি। আমরা চাই গ্রাম-বাংলার উন্নয়ন, ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান। এজন্য উপ-শাখা, ক্ষুদ্রঋণ, পার্টনারশিপ ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাজ করছি।
২০১৩ সালের ২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করা এনআরবিসি ব্যাংকের ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ ১১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা ও ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। প্রতিবছরই বাড়ছে মুনাফা। গ্রামের মানুষকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বিতরণ করছে সিঙ্গেল ডিজিটে ক্ষুদ্রঋণ। প্রায় ২১ হাজার গ্রাহককে ৮১৫ কোটি টাকা ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করেছে। সারাদেশে সেবা কার্যক্রমের পরিচালনার জন্য ৯৩টি শাখাসহ ৭৫০টি উপ-শাখা রয়েছে। উপ-শাখাগুলোর মধ্যে রয়েছে ভূমি রেজিস্ট্রেশন বুথ, বিআরটিএ ফিস কালেকশন বুথ ইত্যাদি। সারাদেশে রয়েছে ৫৯০টি এজেন্ট আউটলেট। এছাড়া দেশব্যাপী প্রায় ৮০টি এটিএম বুথ ও সিআরএম বুথ থেকে তাৎক্ষণিক ব্যাংকিংসেবা পাচ্ছেন ব্যাংকটির গ্রাহকরা। হাতের মুঠোয় ব্যাংকিং করতে রয়েছে প্ল্যানেট অ্যাপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২২
আরবি