ঢাকা: প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার ছয়টি কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেনাকাটার উদ্যোগ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ এ পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখায় বিকাশকে সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডিএনসিসি।
বুধবার (৩ আগস্ট) ডিএনসিসি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলামের হাতে সম্মাননা স্মারকটি তুলে দেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের নির্বাহী পরিচালক খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত পরিচালক শাহ জিয়াউল হক, বিকাশের মার্চেন্ট বিজনেস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পার্থ প্রতিম ভট্টাচার্যসহ অন্যান্যরা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, হাট কেন্দ্রিক ক্যাশ টাকার নির্ভরতা কমানো, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের টাকার নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এবার ঈদুল আজহার সময়ে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি হাট- গাবতলী, বসিলা, আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা ও উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরকে নিয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ পাইলট প্রকল্প পরিচালনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সহযোগী হিসেবে ছিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন। এ হাটগুলোর প্রত্যেকটিতে ছয়টি ব্যাংক, ভিসা মাস্টারকার্ডের পাশাপাশি এমএফএস পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে অংশগ্রহণ করে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতিক্রমে অন্যান্য বড় হাটগুলোতেও একই সেবা দেয় বিকাশ।
এ উদ্যোগের ফলে এসব হাটগুলোতো কোরবানির পশু ক্রেতারা বিকাশে পেমেন্ট করে পশু ক্রয় থেকে শুরু করে হাসিলের টাকা পরিশোধের সুযোগ পেয়েছেন। অন্যদিকে বিক্রেতা ও ইজারাদাররা পেয়েছেন ক্যাশ টাকার ঝুঁকি এড়িয়ে তাদের বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে আসা টাকা এজেন্ট থেকে খরচ ছাড়াই ক্যাশ আউট কিংবা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নেওয়ার সুযোগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২২
আরবি